বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এবং জিম্মি ২৩ নাবিককে ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণের বিনিময়ে সোমালিয়ার জলদস্যুরা মুক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৫৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
দুই সোমালি জলদস্যুর বরাতে রোববার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এর আগে, মুক্তিপণ দিয়ে সোমালিয়ায় জিম্মি নাবিক ও জাহাজ মুক্ত করা হয়েছে, এমন তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার সকালে মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক চাপ ও সমঝোতার মাধ্যমেই এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, রয়টার্সকে আবদিরাশিদ ইউসুফ নামে এক জলদস্যু বলেছেন, দুই রাত আগে টাকাগুলো আমাদের কাছে আনা হয়। এরপর সেগুলো জাল কি না তা আমরা পরীক্ষা করে দেখি। এরপর আমরা টাকাগুলো দলের মধ্যে ভাগ করে সরকারি বাহিনীকে এড়িয়ে চলে যাই।
ওই দস্যু জানান, সব নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অবশ্য এ ঘটনায় মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের আহ্বানে সাড়া দেয়নি সোমালি সরকার।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম পান্টল্যান্ড পোস্ট বলেছে, ২০১২ সালের পর এই প্রথম মুক্তিপণ পেলো সোমালি জলদস্যুরা। তবে এ তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে, স্থানীয় আরেকটি সংবাদমাধ্যম গারো অনলাইন জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড রাজ্যের পূর্ব উপকূল থেকে অন্তত আট জলদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ ছেড়ে দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পান্টল্যান্ড পুলিশ ফোর্সের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গারো অনলাইনকে জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে আটকে রাখা জলদস্যু দলের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন।
গত মার্চে মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে সোমালি জলদস্যুদের শিকারে পরিণত হয় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। জিম্মি করা হয় এর ২৩ নাবিককেও। সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে ঘটে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা।
এরপর ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশি জাহাজটির পিছু নিলেও সেটি দস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এমএইচ