এইমাত্র
  • সুন্দরবনে দেড় কি.মি. এলাকাজুড়ে আগুন, নেভানোর কাজ বন্ধ রেখেছে বনবিভাগ
  • নির্বাচনের লড়াইয়ে বাবার প্রতিদ্বন্দ্বী ছেলে!
  • চুয়াডাঙ্গায় ১০ কেজি গাঁজা ও প্রাইভেটসহ দুই মাদককারবারি আটক
  • ঢাকা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটের কমিউটার ট্রেনের উদ্বোধন
  • শরীরে পটাশিয়াম-সোডিয়ামের ঘাটতি, কি ভাবে বুঝবেন !
  • আরও ৬১ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
  • নেত্রকোনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
  • গরমে সুস্থ থাকতে যে খাবার রাখতে পারেন খাদ্য তালিকায়
  • ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের দাম বেড়ে দ্বিগুণ!
  • কুমিল্লায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৫
  • আজ শনিবার, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৪ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    একটি রিকশার জন্য ২৬ বছর ধরে আক্ষেপ গোলাপ মিয়ার!

    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম

    একটি রিকশার জন্য ২৬ বছর ধরে আক্ষেপ গোলাপ মিয়ার!

    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম

    তীব্র দাবদাহ ও কাঠ ফাটা রোদে রাস্তার মোড়ে মাথায় হাত দিয়ে বসা এক রিকশা চালক। শরিল থেকে টপটপ করে ঘাম পড়ছে। বার বার মাথার ঘাম গামছা দিয়ে মুছবার চেষ্টা করছেন।৷ গরমের কারণে রাস্তায় নেই তেমন মানুষ। কিন্তু রিকশার চালক গোলাপের মাথায় চিন্তার ভাজ। একদিকে রিকশার ভাড়ার চাপ আরেকদিকে সংসার চালানো। সবকিছু চিন্তা তাকে ঘিরে ধরেছে। দিনটা পার হলেই রিকশার ভাড়া দিতে হবে তিনশো টাকা৷ সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে দুপুর একটা পর্যন্ত তার উপার্জন মোট আশি টাকা। রাতে রিকশার মহাজনকে যেভাবেই হউক টাকা দিতেই হবে। চাই ইনকাম হউক বা নাই হউক। এ প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে গিয়ে বার বার কেঁদে ফেলেন তিনি।

    কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পৌর বাজারে দেখা মিলেছে এমনি এক অসহায় দরিদ্র রিকশার চালকের। তার নাম গোলাপ মিয়া (৪০)। পাশ্ববর্তী নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার কৃষ্বপুর ইউপির পূর্ব বীরগাঁও গ্রামের মাঝি বাড়ির বাসিন্দা তিনি।

    এলাকাবাসী ও রিকশার চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্ত্রী দুই মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার গোলাপ মিয়ার। মেয়ে এবার এইচএসসি পরিক্ষার্থী। বাকিরাও স্কুলে লেখাপড়া করছে। ছেলে মেয়েরা সবাই মেধাবী। লেখাপড়া করতে তারা খুবই আগ্রহী। তীব্র অভাব অনটনে মানবেতর জীবনযাপন করছেন৷


    এলাকাবাসী জানান, গোলাপ খুবই সহজ সরল ও পরিশ্রমী মানুষ। নিয়মিত নামাজ পড়েন। নিজস্ব থাকার কোন যায়গা নাই। আরেকজনের যায়গায় থাকে পরিবার নিয়ে। এলাকাবাসী মাঝে মধ্যে তাদের সহযোগিতা করেন। তাদের ছেলে মেয়েরা ভালো পড়াশোনায়৷ কিন্তু অভাবের কারণে খাবার জোটানো কঠিন। আবার লেখা পড়ার খরচ তাদের জন্য যুদ্ধ করার মতো কষ্ট হচ্ছে। তাঁর নিজস্ব একটা গাড়ি হলে পরিবার নিয়ে উপার্জন করে চলতে পারতো।

    রিকশা চালক গোলাপ মিয়া বলেন, সংসার নিয়ে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছ।৷ ভাত জোটানো যেখানে দায় সেখানে লেখাপড়া কিভাবে করাবো বলেন। তবুও সন্তানের মুখের দিকে তাকালে মনডা মানে না আর৷ তাদের আবদার রাখতে পারিনা ।

    তিনি আরো জানান, একটা আনলে আরেকটা বাকি থাকে। আমার নিজস্ব একটা রিকশা ছিলো পায়ে চালানোর। ২৬ বছর আগে চিকিৎসার খরচ আর তীব্র অভাবে বিক্রি করেছিলাম। পরে আর কিনার সাধ্য হয়নি। একটি অটোরিকশা হলে সংসারটা চালাতে পারতাম। বাড়িটাও ঝুপড়ি ঘর, বৃষ্টি আসলেই ভিজতে হয়। এভাবেই চলছি।

    পিএম

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…