রাত আটটার পর থেকে আকাশ মেঘের আনাগোনা৷ সাথে মাঝে মধ্যে আকাশে গর্জন৷ চাঁদনী রাতের নিভু নিভু ঝলমলে আলো মেঘের আবরণে ঢাকা পড়েছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে মানুষ অপেক্ষার প্রহর গুনছে কখন আকাশ থেকে নেমে আসবে শীতল বারিধারা৷ বহু প্রতিক্ষার পর নয়টা চল্লিশ মিনিটের সময় অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি হলো কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে। কখনো থেমে কখনো ভারী বৃষ্টির নিঝুম আওয়াজ৷ গাছের পাতাগুলো ভিজে সজীবতা ফিরে পেলো।
(৪ মে শনিবার) রাত নয়টার পর থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টি পড়েছে। স্বস্তির বৃষ্টিতে মানুষের মধ্যে প্রশান্তি নেমে এসেছে। জেলা সদর ও আশপাশের উপজেলায় শুরু হয় ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি। পরে শুরু হয় মাঝারি ও জোরেশোরে। থেমে থেমে কয়েকদফা বৃষ্টি প্রকৃতিতে নেমে আসে স্বস্তি।
এদিকে, বৃষ্টিপাতের পর তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসে। দিনভর ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও সন্ধ্যায় তা ২৬ ডিগ্রিতে নেমে আসে।
সরজমিনে দেখা যায়, জালালপুর ইউনিয়নের নদীর বাঁধ এলাকায় বৃষ্টির মধ্যে চলাচল করছে যানবাহন, অনেকেই স্বেচ্ছায় ভিজছেন বৃষ্টিতে। চোখে মুখে তাদের আনন্দের ছাপ। অপরদিকে বৃষ্টিরপর থেকে সামজিক মাধ্যমে স্বস্তির কথা জানিয়ে পোস্ট করেন নেটিজেনরা।
পথচারী রবিউল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা ছিলো। গরমে প্রতিদিন ক্লান্ত হয়ে যেতাম। এলাকায় বৃষ্টির প্রার্থনায় ইস্তিসকা নামাজও পড়েছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে বৃষ্টি হলো। এখন ভালো লাগছে। এতোদিন দাঁড়িয়ে বসে থাকলেও ঘাম ঝরতো। রাতে বিদ্যুৎ গেলে ঘুমাতে পারতাম না। এখন ভালো লাগছে।
আশিকুল, হৃদয়, সজিব নামে কয়েকজন যুবক বলেন , বৃষ্টি নামার পরই ভিজেছি। শরীর জুড়িয়ে গেছে। এখন ঠান্ডা হাওয়া আরও ভালো মনে হচ্ছে। সড়কে সব ধুলাবালি সব পরিষ্কার হয়ে গেলো।
উল্লেখ্য বৃষ্টির জন্য টানা তিনদিন কটিয়াদী পাইলট স্কুল মাঠে নামাজ আদায় করেও দোয়া চাওয়া হয়েছে। বৃষ্টি আসায় সবার মনেই প্রশান্তি নেমে এসেছে।
এফএস