এইমাত্র
  • ডোনাল্ড লু’কে নিয়ে উদ্ভট চিন্তা করছে বিএনপি: কাদের
  • মদ্যপ অবস্থায় পুলিশকে মারধর, গ্রেফতার তিন মহিলা
  • নিখোঁজের পরদিন গর্তে মিলল দুই খালাতো ভাইয়ের মরদেহ
  • কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন হত্যায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড
  • দাখিলেও দেশসেরা ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসা
  • চাঁদাবাজির অভিযোগে একদিনে রাজশাহীতে ১০ পুলিশ প্রত্যাহার
  • ফুলবাড়ীতে কৃষকদের মাঝে কৃষি যন্ত্র বিতরণ
  • ক্লাস চলাকালীন বিদ্যালয়ে আগুন, শ্রেণিকক্ষ পুড়ে ছাই
  • বর্ণাঢ্য আয়োজনে ওসমানী হাসপাতালে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস উদযাপন
  • নির্মাণ সামগ্রী বিক্রি করা সেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
  • আজ রবিবার, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১২ মে, ২০২৪
    রাজধানী

    তীব্র গরমে এসি বিক্রি বেড়েছে তিন গুণ

    অভিষেক মল্লিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম
    অভিষেক মল্লিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম

    তীব্র গরমে এসি বিক্রি বেড়েছে তিন গুণ

    অভিষেক মল্লিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম

    রাজধানী সহ সারা দেশে চলছে তীব্রতাপদহ। এই তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ।দেশের বেশ কিছু জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

    এই অসহনীয় তাপমাত্রা থেকে রেহাই পেতে অনেকেই শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) কিনতে বৈদ্যুতিক পণ্যের শোরুম বা বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন। ফলে এসি বিক্রি বেশ বেড়েছেছে।

    রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার, সদরঘাট এলাকার বেশ কয়েকটি বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়,প্রচন্ড গরমে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এসি বিক্রি বেড়েছে ২০-৩০ শতাংশ।

    বর্তমানে দেশে ওয়ালটন, ইলেক্ট্রোমার্ট, ট্রান্সকম, এসকোয়্যার, সিঙ্গার বাংলাদেশ, বাটারফ্লাই, র‌্যাংগ্স, ইলেকট্রা ইন্টারন্যাশনাল, মিনিস্টার, ভিশন, এলজিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে।

    লক্ষ্মীবাজারের ওয়ালটন ব্রাঞ্চের ম্যানেজার উত্তম বলেন, আগের তুলনায় ওয়ালটন এসির বিক্রি তিনগুণ বেড়েছে। ধরেন আগে যদি আমার এই শোরুমে দৈনিক পাঁচটা এসি বিক্রি করতাম এখন করছি ১৫ টা। গরমের তীব্রতায় মানুষ ধারকর্য করে হলেও এসি কিনছে। আগে আমরা নির্দিষ্ট টাইমে দোকান খুলতাম এবং বন্ধ করতাম। এখন বিক্রির চাপ এতটা বেড়েছে যে আমাদের কম বেশি সবার ওভারটাইম করা লাগছে।

    এসির দাম বাড়ার বিষয়ে এই ম্যানেজার বলেন, গত তিন বছরে আমাদের এসির দাম বাড়েনি। গরম বেড়েছে তাই বলে যে আমরা এসির দাম বাড়াবো বিষয়টা এমন না। অনলাইনে এবং শোরুমে এসি কেনার পার্থক্যের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকে শোরুমে না এসে অনলাইনে এসি অর্ডার করছেন। সেক্ষেত্রে দামের কিছুটা পার্থক্য আছে। তবে বেশি না সর্বোচ্চ দু'তিন হাজার টাকা।

    পুরান ঢাকার লক্ষীবাজারের বাটারফ্লাই ব্রাঞ্চের ম্যানেজার আবু সুফিয়ান বলেন, আমাদের এখানে গত দুই সপ্তাহে প্রচুর বেচাকেনা হয়েছে। সত্যি বলতে আমাদের এখন এসি বিক্রি নেই। কারণ ইকো এবং হায়ার এসির স্টক আউট। আমার এখানে এখন শুধু এলজি কোম্পানির এসি আছে। এটার তুলনামূলক দাম বেশি। তাই একটু কম সেল হয়। হেড অফিসে ক্রেতাদের চাহিদা এবং এসির স্টক আউটের বিষয়ে জানিয়েছে তারা হয়তো কিছু একটা করবেন। এসির চাহিদা কেমন বেড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে এই ম্যানেজার বলেন, গত তিন মাসে যত টাকার এসি বিক্রি করেছি এই মাস এখনো শেষ হয়নি তার চেয়ে বেশি বিক্রি করেছি। স্টক আউট না হলে হয়তো আরো বেশি বিক্রি হতো।

    এসি বিক্রির বিষয়ে পুরান ঢাকার র‍্যাংগস ই-মার্ট ব্রাঞ্চের ম্যানেজার আশরাফুল বলেন, আমাদের এখানে স্যামসাং, এলজি, ডাইকিং, হাইসেন্স এবং তোসিন এই পাঁচটি কোম্পানির এসি বিক্রি করা হয়। আগের তুলনায় বেচাবিক্রি অনেক ভালো।

    পূর্বের তুলনায় বিক্রি কত শতাংশ বেড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে এই ম্যানেজার বলেন, আমরা দিনে বা সপ্তাহে কয়টি এসি বিক্রি করেছি সেই হিসেব করি না তবে কত টাকা সেল করেছি সেই হিসেবে করি। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে আমরা ২০ লাখ টাকার এসি বিক্রি করেছি। দ্বিতীয় সপ্তাহে ২১ লাখ টাকা। তৃতীয় সপ্তাহে সেটা প্রায় ৪০ লাখ টাকার কোটায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এপ্রিলের চতুর্থ সপ্তাহে আমরা প্রায় ৬০ লাখ টাকার এসি বিক্রি করেছি। বলা চলে গত মাসের তুলনায় চারগুণ পাঁচ গুণ বেশি সেল করেছি। এই তাপদাহ যদি আরো এক সপ্তাহ চলমান থাকে তাহলে হয়তো পূর্বের বেচাকেনার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…