সৌদি আরবের ছেলে হত্যার জন্য বিচারপ্রার্থী ছিলেন বাবা। সেই খুনির সাজার রায়ও ঘোষণা হয়েছিলো আদালতে। কিন্তু মৃত্যুদণ্ডের সেই রায় কার্যকর করার ঠিক আগ মুহূর্তে নিজের সন্তানের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বিচারপ্রার্থী ওই বাবা।
মঙ্গলবার (০৭ মে) গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, আল হুমাইদি আল হারবি নামের ওই বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। তার এমন উদারতা দেখে অবাক হয়েছেন উপস্থিত সব কর্মকর্তারা। সেখানে হত্যার শাস্তি হত্যার মাধ্যমেই দেয়া হয়ে থাকে।
শোকাহত পিতার মহানুভবতার ঘটনাটি সম্প্রতি গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। খুনের অপরাধে এক তরুণের মৃত্যুদণ্ড হতে দেখে খারাপ লাগে ছেলেহারা বাবার। তাই নিজের সন্তানের হত্যাকারীকেই জীবন ভিক্ষা দেন তিনি।
ওই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা। কিন্তু ওই সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। তবে পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।
ক্ষমা ঘোষণার পর, তরুণ অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ডের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আল হারবির চারপাশে জড়ো হয়ে উপস্থিত জনতা তার সহানুভূতিশীল কাজের জন্য প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
আল হারবির এই পদক্ষেপে সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। ওই বাবার এমন উদারতার সাধারণ মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবে হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। দেশটিতে শিরশ্ছেদের মাধ্যমে দণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে দণ্ড কার্যকরের আগে হত্যার শিকার হওয়া ব্যক্তির পরিবারের কাছে হত্যাকারীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। পরিবার ক্ষমা করলে মৃত্যুদণ্ড রহিত করা হয়।
এসএফ