এইমাত্র
  • দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৭-৮ শতাংশ: ইসি অতিরিক্ত সচিব
  • আজ ধ্যানমগ্ন হয়ে সময় পার করবেন বিশ্বের ৫০ কোটি মানুষ
  • দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে
  • দেশের যে ১২ জেলায় ঝড়ের আভাস
  • ইসরায়েলের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়ে যা বললেন বাইডেন
  • বরিশালে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, পুলিশ কর্মকর্তার কারাদণ্ড
  • ইতালি যাওয়ার পথে সাগর থেকে ৩৫ বাংলাদেশি উদ্ধার
  • ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
  • গভীর রাতে সমর্থকের বাড়িতে নৈশভোজ, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা
  • রাবিতে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস পালিত
  • আজ মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২১ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    সৎ বাবার নির্মম নির্যাতনে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলো শিশু রাবেয়া

    নয়ন দাস, শরীয়তপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম
    নয়ন দাস, শরীয়তপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম

    সৎ বাবার নির্মম নির্যাতনে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলো শিশু রাবেয়া

    নয়ন দাস, শরীয়তপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম

    আড়াই বছরের শিশুর রাবেয়া, পৃথিবীর হালচাল বোঝার ক্ষমতা যার হয়নি। সেই শিশুটি তার সৎ পিতার নির্যাতনের বলি হয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চিরতরে হারিয়ে গেছে। সৎ পিতা মঞ্জুর আলমের শারীরিক নির্যাতনে শিশুটি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরে সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

    এর আগে শিশুটিকে সোমবার বেলা ১১টার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে শিশুটির মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাতেই সৎ পিতাকে আটক করে পুলিশ।

    পালং মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    মায়ের অভিযোগ ও হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মৃত শিশু রাবেয়ার মায়ের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদার উপজেলায় এবং সৎ পিতা মঞ্জুর আলমের বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়। চার মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। শিশু রাবেয়া রুনার আগের পক্ষের মেয়ে। মঞ্জুর শরীয়তপুরে নলকূপ স্থাপনের শ্রমিকের কাজ করেন এবং সদরের ডোমসার এলাকায় ভাড়া থাকেন। বিয়ের পর প্রায়ই মঞ্জুর শিশুটিকে মারতেন।

    মঞ্জুত এক সপ্তাহ আগেও নাকি শিশুকে পিছমোড়া করে হাত-পা বেঁধে পিটিয়েছিলেন। এইসময় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশুটির মা স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ঔষধ এনে শিশুটিকে খাওয়ান। সোমবার সকালেও মঞ্জুর আবার শিশুটিকে মারধর করেন। পরে শিশুটির মা রুনা, শিশু রাবেয়াকে নিয়ে হাসপাতালে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি করেন। শিশুটির অবস্থা মুমূর্ষ হলে শিশু বিভাগের পরিদর্শনে আসা শিশু চিকিৎসক শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিতে বলেন। পরে বিকাল ৪টার দিকে ওই শিশু মারা যায়। খবর পেয়ে পালং মডেল থানার পুলিশ হাসপাতালে এসে রুনার অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামী মঞ্জুরকে আটক করে। এই বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    এই বিষয়ে জানতে চাইলে শিশুটির মা রুনা আক্তার বলেন, ঢাকায় মধ্য বাড্ডা এলাকায় থাকনের সময় মঞ্জুরের সাথে আমার পরিচয় হয়। আমরা বিয়া কইরা ঈদের পরের দিন শরীয়তপুরে আহি। এইখানে আসনের পর থেকেই মঞ্জুর আমার মাইয়ারে মাইরধর করত। কয়দিন আগে আমার মাইয়ার হাতপাও বাইন্ধা রাখছিল। গতকাল সকালেও মারছে। যেদিন আমার মাইয়ার হাত পাও বাইন্ধা মারছিল সেদিন যদি প্রতিবাদ করতাম তাইলে আমার মাইয়া আজকে মরত না। আমি মঞ্জুরের ফাঁসি চাই।

    শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার নিতু আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, বেলা ১১টার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় আড়াই বছরের একটি শিশুকে তার মা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। শিশুটিকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মনে হয়েছিল। তাকে দেখে স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল না। বাচ্চাটির এই সময় শ্বাস কষ্ট ছিল। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর শিশুটিকে আমরা শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করি। পরে শিশু বিশেষজ্ঞ যখন শিশু ওয়ার্ডে পরিদর্শনে আসেন তখন শিশুটিকে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। শিশুটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় তিনি শিশুটির মাকে বলেন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে। শিশুটির গায়ের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

    শিশুটির মায়ের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, শিশুটির সৎ বাবা তাকে শারীরিক আঘাতের মাধ্যমে নির্যাতন করেছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে ঢাকায় যাবে এমন সময় শিশুটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরে আমরা বিষয়টিকে পুলিশকে জানিয়ে দেই।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…