সারাদেশের মতো গাজীপুরেও এপ্রিল মাসের শুরু থেকে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে জনজীবনে অস্বস্তি পৌঁছেছে চরমে। একই অবস্থা প্রাণিকুলেও। হিটস্ট্রোকের কারণে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে পোলট্রি খামারের অসংখ্য মুরগি আর পুকুরের পানি গরম হয়ে মারা যাচ্ছে মাছ।
গাজীপুরে গত কয়েকদিন ধরেই বয়ে যাচ্ছে তীব্র দাবদাহ, সেই সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিং। তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রিতে উঠানামা করছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন প্রান্তিক খামারিরা।
এই পরিস্থিতিতে ডিম ও মুরগি উৎপাদন কমে অর্ধেকে নেমেছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে মুরগি ও ডিম সরবরাহে সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন খামারিরা।
এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশন এক সংবাদ সম্মেলনে গত এক মাসে খামারগুলোর ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরে। গাজীপুর ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, গত কয়েকদিনের তীব্র গরমে গাজীপুরে এগ্রো সেক্টরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তীব্র গরমে খামারেই মারা যাচ্ছে অসংখ্য মুরগি। প্রতিদিন একটি করে খামারে ২০ থেকে ৩০টি করে মুরগি মারা যাচ্ছে পাশাপাশি পুকুরে অতিরিক্ত তাপে মারা যাচ্ছে মাছ।
টানা ১০ দিনের তাপপ্রবাহে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে খামারগুলোতে। করোনা, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ এবং সর্বশেষ তাপপ্রবাহের কারণে পথে বসে যাচ্ছে জেলার খামারিরা। অনেকেই ব্যাংক লোন নিয়ে বিপাকে পড়েছে। এঅবস্থায় ব্যাংক সুদ মওকুফের দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেইরি ফারমার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুল ইসলাম শাহীন এবং জেলার বিভিন্ন খামারিরা।
উল্লেখ্য, গাজীপুরে নিবন্ধিত ডেইরি ফার্মের সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ হাজার, ৫০ থেকে ৫৫ হাজার মুরগীর খামার এবং মাছের খামার রয়েছে ১০-১৫ হাজার।
এমআর