এইমাত্র
  • আবারো চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই
  • চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাইসাইকেল আরোহী নিহত
  • সিরাজগঞ্জে কভার্ডভ্যানে মিলল ২১৬ কেজি গাঁজা, গ্রেপ্তার ২
  • টাঙ্গাইলের ১৬ সরকারি অফিসে ওড়ে না জাতীয় পতাকা
  • ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য
  • নির্বাচন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটিতে টানা ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
  • জুমার দিনের ফজিলত ও বিশেষ আমল
  • বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণে প্রচণ্ড চাপে আছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
  • শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা : খাদ্যমন্ত্রী
  • বিয়ের কথা ছড়িয়ে দেয়ায় জেঠিকে হত্যা করে তন্ময়
  • আজ শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৭ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    মুক্তির খোঁজে আকাশে উড়ছে বাহারি ঘুড়ি

    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ মে ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ মে ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম

    মুক্তির খোঁজে আকাশে উড়ছে বাহারি ঘুড়ি

    ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ মে ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম

    চাঁদনী রাতে আকাশ থেকে ভেসে আসে ভুবু ভেলার শব্দ৷ বৈশাখী রাতের বাতাস আর ভেলার আওয়াজ মিলেমিশে ভেসে এসে মুগ্ধ করে মনকে৷ সকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা বেলা। সবসময়ই আকাশে দেখা মিলছে ঘুড়ি। বিশেষ করে বিকালের নীল আকাশে যেনো ঘুড়ির রাজত্ব৷ রাতে মনে হয় আকাশে যেন বিমান খেলা করছে৷ নিভু নিভু ঝলমলে আলো জ্বলে আকাশে। কখনো মনে হবে বড় সাপ, চিল,ঈগল, ঘর উড়ছে আকাশে৷ কখনো মনে হবে দৈত্য দানব আকাশে উড়ছে!। আসলে এগুলো বিভিন্ন ডিজাইনের ঘুড়ি৷

    আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের অংশ ঘুড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় এখনো দেখা মিলে। প্রতিদিন আকাশে দিনেরাতে দেখা যায় হরেক রকমের ঘুড়ি৷ উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এমনি দৃশ্য দেখা যায়৷ এছাড়াও উপজেলার সবগুলো ইউনিয়নের কিছু এলাকায় আজো এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।

    বাংলার সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে যেতে চলা ঘুড়ি উৎসব। সববয়সী মানুষও মেতেছেন ঘুড়ি উৎসবে। বিভিন্ন পাড়া, মহল্লার আকাশে এখন রঙবেরঙের ঘুড়ি। শিশু-তরুণ-যুবক এমনকি মাঝ বয়সীরাও স্বাদ নিচ্ছে ঘুড়ি উড়ানোর। শুধু দিনেই নয়, রাতের আকাশেও দেখা মিলছে ঝলমলে ঘুড়ির।

    সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, বর্তমানে উপজেলায় ঘুড়ি বানানোর ধুম পড়েছে। আকাশে চোখ মেললেই ঘুড়ির লড়াইয়ের দৃশ্য, চলছে কাটাকাটির খেলা। ঘুড়ির মধ্যে লাইটিং করা হচ্ছে৷ রাতের আকাশে অনেক রকমের আলো ঝলমল করছে৷ কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিন-রাত ছোট-বড় নানা বয়সী ঘুড়ি প্রেমি মেতেছেন এই ঘুড়ি উৎসবে। বর্তমানে চাহিদা বাড়ায় প্রকার ভেদে দুইশ থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব ঘুড়ি। প্রতিদিন আকাশে দিন-রাত্রী পর্যন্ত উড়তে দেখা যাচ্ছে- চিল, কয়রা, ঢোল, পতিঙ্গা, পাখি, পরি, বাচ, ফুল, প্রজাপতি, মানুষ ঘুড়ি, সাপাসহ রংবেরঙের ঘুড়ি।

    মসুয়া ইউনিয়নের বৈরাগিচর এলাকার ঘুড়িপ্রেমী ইদ্রিস বলেন, গ্রামে ঘুড়ি তৈরিতে যুবকরা ব্যস্ত সময় পার করছে। তাদের কাছেই এখন মিলছে ঘুড়ি। সাধারণত যেকোনো ডিজাইনের একটি ঘুড়ির দাম একশ থেকে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত। বিকেলে একটু আনন্দ পেতেই তারা ঘুড়ি উড়াতে মেতে উঠছে। বাশঁ, বেত এবং বিভিন্ন রঙের প্লাস্টিক-কাগজের মোড়কে ঘুড়ি বানানো হয়। আবার কেউ ঘুড়িতে বাতি লাগিয়ে নিয়ে রাতের আকাশে উড়াচ্ছেন।

    জনশ্রুতি আছে, ব্রিটিশ আমলে অভিজাত লোকদের বিনোদনের জন্য ঘুড়ি উড়ানোর আয়োজন করা হতো। ১৭৪০-এর দশকে নায়েব-এ-নাজিম নওয়াজেশ মোহাম্মদ খানের আমলে ঢাকায় ঘুড়ি উড়ানো উৎসব একটা ঐতিহ্যে পরিণত হয়। তখন থেকেই কিশোরগঞ্জের খোলা আকাশে অনেক ঘুড়ি উড়তে দেখা যায়।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…