কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ দুজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত।
বুধবার (০৮ মে) উপজেলার একটি কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার তাদের আটক করেন। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর দত্ত আদালত বসিয়ে তাদের এই সাজা দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের বুরুদিয়া গ্রামের মো. রায়হান মিয়া (৩৬)। তিনি ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও একই ইউনিয়নের বুরুদিয়া নামাপাড়া গ্রামের মো. জাকির হোসেন (৩৫)।
প্রথম ধাপে বুধবার (০৮ মে) কিশোরগঞ্জের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলাগুলো হলো কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাজাপ্রাপ্ত দুই ব্যক্তি দুপুরে মোটরসাইকেল ও তালা-চাবি প্রতীকের পক্ষে বুরুদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট দিতে যান। কেন্দ্রের ভেতরে এজেন্টের সহায়তায় জাল ভোট দেন।
বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রিসাইডিং অফিসার রিপন কুমার সরকার পুলিশকে জানালে তিনজনকে আটক করা হয়। খবর পেয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর দত্ত বুরুদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আদালত বসিয়ে এই তিনজনকে সাজা দেন। এ ঘটনায় একই ইউনিয়নের বুরখিল গ্রামের ইমরান হোসেনকে (২০) আটক করা হলেও তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় খালাস দেন বিচারক।
অপরদিকে জেলার হোসেনপুরে নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে এক কিশোরকে চার হাজার টাকা জরিমানা করেছেন হয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেনাজ আফরোজ এই আদেশ দেন।
এ ছাড়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে জাল ভোট দিতে গিয়ে আটক এক তরুণকে এক হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ।
প্রিসাইডিং অফিসার রিপন কুমার সরকার বলেন, ভোটকেন্দ্রে এজেন্টের সহায়তায় জাল ভোট দেওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে খবর দেওয়া হয়। বিচারক এসে তাদের সাজা দেন।
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, আদালতের আদেশের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এমআর