রাশিয়ার শক্তিশালী নেতা ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার তুমুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় দেশজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। ৯মে সরকারি ছুটির দিনে রাশিয়াজুড়ে চলে বিজয়োল্লাস। মস্কোর রেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হয় বিজয় দিবসের বিশেষ কুচকাওয়াজ। এদিন সেনা প্যারেডের মাধ্যমে লৌহমানব পুতিনকে দেয়া হয় বিশেষ সম্মাননা।
৯মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাৎসি বাহিনীর আত্মসমর্পণের দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে রাশিয়া৷ শুধু রাশিয়াই নয়, ঐতিহাসিক কারণে ইউরোপে বিভিন্ন দেশেও ভিন্ন ভিন্ন নামে ভিন্ন তারিখে পালিত হয়ে থাকে দিবসটি। তবে রাশিয়ার জন্যে এই দিবসটি অন্য মাত্রা বয়ে আনছে বছরের পর বছর ধরে।
এবারও বিজয় দিবসের ভাষণে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছেড়েছেন রুশ নেতা পুতিন। শুধু তাই নয়, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে যে অস্থিরতা চলছে এবং বৈশ্বিক সংঘাতের যে ঝুঁকি চলছে তাঁর জন্যেও পশ্চিমাদের দায়ী করে পুতিন বলেন, পরমাণু শক্তিধর রাশিয়াকে হুমকি দেয়ার সাহস কাউকে দেয়া হবেনা। এ সময় পশ্চিমাদের অহংকারী বলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দেন রুশ নেতা।
পুতিন বলেন, আমরা জানি এই ধরনের অহংকার এবং উচ্চাকাঙ্খী স্বভাব কোথায় নিয়ে যেতে পারে। একটি বৈশ্বিক সংঘাত এড়াতে সব কিছুই করবে রাশিয়া। একই সাথে আমরা কাউকে হুমকি দেয়ার অনুমতিও দেবো না। আমাদের কৌশলগত বাহিনী সবসময়ই যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত আছে বলেও হুঁশিয়ারি দেন রুশ নেতা।
এর আগে মঙ্গলবারও শপথ গ্রহণের পরে পশ্চিমাদের এক ঘা দিয়েছেন পুতিন। বলেন, আমরা পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর সাথে সংলাপ প্রত্যাখ্যান করি না। সুরক্ষা এবং কৌশলগত স্থিতিশীলতার বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন, তবে কেবলমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের ‘অহংকার’ তাতে বাধা দিচ্ছে। রাশিয়া ইউক্রেনে জয়ের জন্যও প্রস্তুত।
২০২২ সালে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমারা। কিন্তু পুরো পশ্চিমা জোট মিলেও রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিনকে দমাতে পারছেনা। উল্টো ইউক্রেনে গো হারা হারছে পশ্চিমারা।
এসএফ