মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার আড়ালিয়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করা মর্টার শেলটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এদিকে বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশেপাশের শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন চড়াও হয় পুলিশ এবং গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর।
খবর নিয়ে জানা যায়, মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করতে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল ৫ টা থেকে কাজ শুরু করে পুলিশের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। রাত ৮টার দিকে মর্টার শেলটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতোটাই বেশি ছিল যার কারণে গ্রামটির অর ঘরবাড়ি,মসজিদ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তীব্র শব্দে আশিক নামে এক খামারির ৩ টি গরুর স্টোক করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আড়ালিয়া গ্রামের রফিজ মিয়া বলেন, ' বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটা বেশি ছিল প্রায় আমার টিনসেট বাড়ির সব কিছু উড়ে যায়। শুধু আমার নয় আশপাশের অন্তত ৯০/১০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই দিকে বিস্ফোরণ এরপর স্থানীয় গ্রামবাসীর রোষানলে পড়ে পুলিশ বাহিনী,বোমা ডিস্পোজাল টিম,গণমাধ্যম কর্মীরা। এ সময় ডিএসবি, এনএসআই প্রতিনিধিসহ একাধিক মটর বাইক ভাঙচুর,পুলিশ লাঞ্চিতের ঘটনাও ঘটে।
বিক্ষিপ্ত গ্রামবাসীদের বলেন, এত শক্তিশালী বোমা এখানে এই ভাবে নিস্ক্রিয় করা উচিত হয় নাই,আমরা ক্ষতিপূরণ দাবি করে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধারের জন্য রাত ৯টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটা টিম অভিযান শুরু করে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিশনা মাহমুদুজ্জামান জনরোষে পড়ে জানান, বোমাটা যে অবস্থায় ছিল,এখানে নিস্ক্রিয় করা ছাড়া আর কোন পথ ছিল না।
এমআর