বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর ওপর একাধিকবার সাইবার হামলার অপচেষ্টা চালিয়েছে ভারত- এমনটাই দাবি করেছেন দেশটির তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী শাজাহ ফাতিমা খাজা। তবে তিনি জানান, এসব হামলার সবকটি সফলভাবে প্রতিহত করেছে ইসলামাবাদ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তান জানায়, এক সাক্ষাৎকারে শাজাহ ফাতিমা বলেন, ‘ভারতের সাইবার হামলা প্রতিহত করতে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি (পিটিএ)সহ সংশ্লিষ্ট সব প্রযুক্তিভিত্তিক সংস্থা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এরই মধ্যে ভারতের একাধিক সাইবার আক্রমণ ব্যর্থ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত এখন পর্যন্ত কোনো সাইবার আক্রমণে সফল হতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও তারা সফল হবে না বলে আমরা আশাবাদী।’
উত্তেজনার পটভূমি: গত ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের ভূখণ্ডে একযোগে হামলা চালায় ভারত। ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামের এই অভিযানে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরের মোট নয়টি স্থাপনায় আঘাত হানা হয়।
স্থানীয় সময় রাত ১টায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শিয়ালকোট, ভাওয়ালপুর ও মুরিদকে শহর এবং আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদ, বাগ ও কোটলি অঞ্চলে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দ কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা গেছে এবং অনেক জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানায়, ভাওয়ালপুরে অবস্থিত পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান কার্যালয় এবং মুরিদকে শহরে লস্কর-ই-তৈয়বার কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছিল হামলার অন্যতম লক্ষ্য। তবে ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই হামলাগুলো কেবলমাত্র সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থাপনায় চালানো হয়েছে—পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কোনো স্থাপনায় নয়।
এবি