হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুই ব্যক্তির পাঞ্জাবির পকেটে তল্লাশি চালিয়ে ২১ ও ২২ ক্যারেটের ৮৯৬ গ্রাম সোনার গহনা জব্দ করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- মো. হাছান (৩৯) ও মো. শাহাজান (৪৯)।
এপিবিএন জানায়, গ্রেপ্তার দুজন বিভিন্ন দেশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় যাত্রীর মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে সোনা আনেন বাংলাদেশে। দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরে সোনা চোরাচালান সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত এবং রিসিভার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন আটক এই দুজন।
মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) দিবাগত রাতে এপিবিএনের অপারেশনাল কমান্ডার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক গণমাধ্যমের কাছে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আগমনী এক নম্বর ক্যানোপি এলাকা থেকে মো. হাছান ও মো. শাহাজান নামের দুজন ব্যক্তি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সুকৌশলে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় এপিবিএন ফোর্স তাদের আটক করে। পরে তাদের এপিবিএন অফিসে নিয়ে শরীর তল্লাশি করলে হাছানের পাঞ্জাবির পকেট থেকে ৫০২ গ্রাম ও মো. শাহাজানের পাঞ্জাবির পকেট থেকে ৩৯৪ গ্রাম সোনার গহনা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, দুজনের কাছে থাকা সোনার গহনা জব্দতালিকা মূলে জব্দ করা হয়। এগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য এক কোটি সাত লাখ চার হাজার ৩০০ টাকা।
এপিবিএনের এই কর্মকর্তা বলেন, সোনার গহনার মান ২১ ও ২২ ক্যারেট। গ্রেপ্তার দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় যাত্রীর মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে সোনা আনেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরে সোনা চোরাচালান সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত এবং রিসিভার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মোজাম্মেল হক আরও বলেন, বিমানবন্দর এলাকায় চোরাচালান রোধ ও অন্যান্য অপরাধ দমনে নিয়মিত কাজ করে আসছে এপিবিএন। সাম্প্রতিক সময়ে সোনা চোরাচালানের তৎপরতা বেড়েছে। বিমানবন্দর ব্যবহার করে যে কোনো চোরাচালান রোধে আমরা বদ্ধপরিকর।
এআই