রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের চার নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় পৃথক পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন— যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক জলবায়ুবিষয়ক সহসম্পাদক রজ্জব আলী (পিন্টু), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম (লাকি), চকবাজার থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব অপু দাস এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালু।
এ ঘটনায় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব সংগঠন নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বহিষ্কৃত নেতাদের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত নেতা অপু দাসের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান সংগঠনের কর্মী কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালুকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, বহিষ্কৃতের কোনো অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। দলের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, 'মিটফোর্ডের ঘটনায় দল কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এরপরও বিএনপির ওপর দায় চাপানো নোংরা রাজনীতির চর্চা।’
তিনি বলেন, ‘কোনো দুষ্কৃতকারীর অপরাধের দায় দল নেবে না। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালের মূল ফটকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে লালচাঁদ সোহাগকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
এসকে/আরআই