বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, নানা অপরাধে জড়িত থাকায় গত ১০ মাসে বিএনপির প্রায় সাড়ে ৪ হাজার নেতাকর্মীকে বহিস্কার করা হয়েছে। বিএনপিতে কোনও অন্যায়কারীর জায়গা হবে না। বিএনপি একটা শান্তিপ্রিয় রাজনৈতিক দল। জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।
আজ শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে নাটোরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত শ্রমিক দলের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কখনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন সৎ আদর্শবান মানুষ ছিলেন, যাকে নিয়ে কেউ কোনদিন কোনও বিতর্কিত কথা বলতে পারেনি। এখন জিয়াউর রহমানের উত্তরসুরি তারেক রহমান কখনো কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। আগামীতেও দেবে না।
বিএনপিতে কোনও চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনির স্থান হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে রাজধানীর মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার সাথে জড়িতদের স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। এই হত্যার সাথে জড়িতদের দুষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এসময় দুলু আরও বলেন, বিএনপিকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করা হয়েছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ এমন কোনো নেতাকর্মী নেই, যারা নির্যাতনের শিকার হননি। বর্তমানে বিএনপির ভাবমূর্তি ও সুনাম নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিএনপির এখনও ক্ষমতায় না যেতেই নানা চক্রান্ত চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দুলু বলেছেন, বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময় আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ আমাদের অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। আপনারা জানেন যারা নির্যাতিত হয় তারা মজলুম। বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী এখনো মজলুম, কারণ বিএনপি এখনো নির্যাতিত। অথচ সম্প্রতি একটা রাজনৈতিক দল বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে বিএনপিকে বিতর্কিত করার জন্য, চাঁদাবাজ বানানোর জন্য। জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শ্রমিকদের ন্যায্য মুজুরি নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়ে দুলু বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির বিষয়টি তারেক রহমান তার ৩১ দফায় উল্লেখ করেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাজার মূল্যের সাথে বিবেচনা করে শ্রমিকের বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে শ্রমিকদের অবদান স্মরণ করে তিনি বলেন, এই শ্রমিকরাই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আন্দোলনের সময় অনেক আহত ছাত্ররা রাস্তায় পড়েছিল। একজন শ্রমিক, ভ্যানচালক, রিকশাচালক তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ এই শ্রমিকদের ঋণ শোধ করতে পারবে না।
এসকে/এইচএ