এইমাত্র
  • হাদির মতো এ রকম ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা ফখরুলের
  • সদরপুরে প্রার্থীদের নিজ উদ্যোগে নির্বাচনী ব্যানার অপসারণ
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
  • দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
  • স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী ও প্রেমিক আটক
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান এরদোয়ান
  • ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না বিএনপি
  • ছুটির দিনেও খোলা থাকবে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়
  • আজ রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    ইসরায়েলের হামলায় আহত হন ইরানের প্রেসিডেন্টও, অল্পের জন্য বেঁচে যান

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১০:০৮ এএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১০:০৮ এএম

    ইসরায়েলের হামলায় আহত হন ইরানের প্রেসিডেন্টও, অল্পের জন্য বেঁচে যান

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১০:০৮ এএম

    তেহরানে ইসরায়েলের একটি হামলায় ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান আহত হয়েছিলেন। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক চলাকালে গত ১৫ জুন হামলাটি হয়েছিল। ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল জাজিরার

    ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের ঘনিষ্ঠ ফার্স নিউজ জানিয়েছে, গত ১৫ জুন ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক চলছিল। এ সময় হামলা হয়েছিল। ওই বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের পাশাপাশি ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের কালিবাফ ও প্রধান বিচারপতি গোলাম-হোসেইন মোহসেনিও উপস্থিত ছিলেন।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার সময় ভবনটির নির্গমনপথ আটকে দিতে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র বা বোমা ব্যবহার করা হয়। তবে কর্মকর্তারা আরেকটি জরুরি পথ দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এ সময় পালাতে গিয়েই প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান তার পায়ে সামান্য আঘাত পান।

    হামলাটি অত্যন্ত নির্ভুলভাবে পরিচালিত হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, ওই বৈঠকের তথ্য ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে ফাঁস করে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ফার্স।

    ইরান ও ইসরায়েল উভয় দেশই স্বীকার করেছে, যুদ্ধের সময় ইরানের ভেতরে ইসরায়েলি গুপ্তচরেরা সক্রিয় ছিলেন। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইরান মোসাদ সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড়ও চালায়। ধরা পড়া ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলার ধরন ছিল অনেকটা গত বছরের সেপ্টেম্বরে লেবাননের বৈরুতে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর ওপর পরিচালিত অভিযানের মতো। তবে তেহরানের হামলাটি ঠিক কোথায় ঘটেছিল, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

    এদিকে গত সপ্তাহেই মার্কিন সাংবাদিক টাকার কার্লসনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান জানিয়েছিলেন, ইসরায়েল তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। তবে ওই হত্যাচেষ্টাটি সাম্প্রতিক যুদ্ধেই ঘটেছে কি না, তিনি সে সময় স্পষ্ট করে বলেননি।

    তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে অবশ্য এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

    উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের ওপর আকস্মিক বিমান হামলা শুরু করে। জবাবে ইসরায়েলে হামলা ‍শুরু করে ইরান। পরে দুই দেশের মধ্যে সংক্ষিপ্ত একটি যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে ইসরায়েল ইরানের শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি পরমাণুবিজ্ঞানীদেরও লক্ষ্যবস্তু করেছিল। যুদ্ধের প্রথম দিনই নিহত হন ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ও সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি।

    ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানান, তারা ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সুযোগ না পাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। সংঘাতের সময় ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার খামেনিকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন।

    এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি অংশ নেয় এবং ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ সময় তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেন।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…