এইমাত্র
  • আরও দুই নেতাকে সুখবর দিল বিএনপি
  • পুলিশকে অত্যন্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ
  • আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে ইউরোপ, না ছাড়লে হবে জেল
  • চীনের কাছে ভারতীয়দের নিশানা না করার আশ্বাস চায় ভারত
  • জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
  • জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামির আঘাত
  • নাগরিকদের চীন ভ্রমণ নিয়ে সতর্কতা জারি ভারতের
  • বিশ্বরেকর্ড গড়ার প্রত্যয়ে বিজয় দিবসে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং
  • ফেইসবুক পোস্টে কমেন্টকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৫
  • জুনিয়র হকি বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জার ট্রফি বাংলাদেশের
  • আজ মঙ্গলবার, ২৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    তথ্য অধিকার আইনেও মিলেনি সাড়া, আয়কর ফাঁকির অভিযোগ

    নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
    নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম

    তথ্য অধিকার আইনেও মিলেনি সাড়া, আয়কর ফাঁকির অভিযোগ

    নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম

    পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার ইউনয়নে অবস্থিত গোবিন্দ আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার আয়কর ফাঁকিসহ আর্থিক অনিয়মের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। তথ্য অধিকার আইনে চাওয়া হলে এসব বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে নারাজ প্রতিষ্ঠান প্রধান গোবিন্দ চন্দ্র রায়।

    গত ১৩ জুলাই সময়ের কণ্ঠস্বরের জেলা প্রতিনিধি নাজমুস সাকিব মুন তথ্য অধিকার আইনের আলোকে ডাকযোগে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করেন। আবেদনপত্রে বিগত পাঁচ বছরের আয়-ব্যয়, শ্রেণিভেদে ভর্তি ফি, ব্যাংক লেনদেন, জমি ও ভবন ক্রয়, কর পরিশোধ সংক্রান্ত কাগজপত্র, আয়কর সনদ ও রিটার্ন, শিক্ষক-কর্মচারীদের সম্মানীসহ মোট ১৫টি বিষয়ের লিখিত তথ্য চাওয়া হয়। ১৫ জুলাই চিঠিটি বিদ্যালয়ে বিলি হয় এবং কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করেন বলেও প্রাপ্তি স্বীকার রয়েছে।

    তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী, চিঠি গ্রহণের ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য প্রদান করা বাধ্যতামূলক হলেও সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো তথ্য বা লিখিত জবাব দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। এ অবস্থায় ৬ আগস্ট সময়ের কণ্ঠস্বরের প্রতিনিধি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত আপিল করেন।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক প্রাক্তন শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়টি বিগত পাঁচ বছরে কোটি টাকার অধিক আয় করলেও এর বিপরীতে উপযুক্ত আয়কর জমা দেওয়া হয়নি। কর ফাঁকি দেওয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রের রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আয়কর পরিশোধ সংক্রান্ত কোনো রসিদ, রিটার্ন কপি বা টিআইএন নম্বর প্রকাশ না করে প্রতিষ্ঠানটি বিষয়টি আড়াল করে চলেছে।

    সূত্রটি জানায়, প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত শিক্ষকদের জন্য নেই নিয়োগপত্র, নেই কোনো নির্ধারিত বেতন কাঠামো কিংবা চাকরির নিশ্চয়তা। স্বেচ্ছাচারিতাই এখানে শেষ কথা। ফলে স্বল্প বেতনে শিক্ষকদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া হলেও প্রতিষ্ঠানের আয়ের সিংহভাগ চলে যাচ্ছে অধ্যক্ষ গোবিন্দ চন্দ্র রায়ের ব্যক্তিগত স্বার্থে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠানের আয়ের বড় একটি অংশ আয়কর ফাঁকি দিয়ে গোপনে নিজের কাছে রেখে কালো টাকা হিসেবে ব্যবহার করছেন তিনি।

    অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও লেনদেনও গোপন রাখা হয়েছে। এমনকি জমি ক্রয়, অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয়ের নির্ভরযোগ্য তথ্য না থাকায় অর্থ কেলেঙ্কারির সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়েছে।

    এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ গোবিন্দ চন্দ্র রায় বলেন, 'এলাকার প্রতিষ্ঠান, এলাকার ছেলে-মেয়ে লেখা পড়া করছে। তাই প্রতিষ্ঠানটির দিকে তিনি সুনজর দেওয়ার অনুরোধ জানান।'

    পিএম

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…