এইমাত্র
  • আরও দুই নেতাকে সুখবর দিল বিএনপি
  • পুলিশকে অত্যন্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ
  • আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে ইউরোপ, না ছাড়লে হবে জেল
  • চীনের কাছে ভারতীয়দের নিশানা না করার আশ্বাস চায় ভারত
  • জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
  • জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামির আঘাত
  • নাগরিকদের চীন ভ্রমণ নিয়ে সতর্কতা জারি ভারতের
  • বিশ্বরেকর্ড গড়ার প্রত্যয়ে বিজয় দিবসে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং
  • ফেইসবুক পোস্টে কমেন্টকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৫
  • জুনিয়র হকি বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জার ট্রফি বাংলাদেশের
  • আজ মঙ্গলবার, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে নবজাতকের মৃত্যু

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩২ পিএম

    অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে নবজাতকের মৃত্যু

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩২ পিএম

    শরীয়তপুরে একটি অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের অমানবিক বাধার কারণে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য রওনা হওয়া এক নবজাতক অক্সিজেনবিহীন অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয়।

    বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার নিউ মেট্রো ক্লিনিকের সামনে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে।

    ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের বাসিন্দা নূর হোসেন সরদারের স্ত্রী রুমা বেগম বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রসব ব্যথা নিয়ে নিউ মেট্রো ক্লিনিকে ভর্তি হন। পরে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তবে জন্মের পরপরই শিশুটি শ্বাসকষ্টসহ তীব্র ঠান্ডাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়।

    চিকিৎসকরা অবস্থা সংকটজনক দেখে দ্রুত ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। শিশুটির পরিবার তাৎক্ষণিকভাবে একটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু ক্লিনিকের সামনেই বিপত্তি ঘটে।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও শিশুর পরিবার জানায়, অ্যাম্বুলেন্সটি রওনা হওয়ার সময় স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স চালক সবুজ দেওয়ান ও আবু তাহের দেওয়ান রাস্তায় বাধা দেন। অভিযোগ রয়েছে, তারা নিজেদের সিন্ডিকেটে না থাকা গাড়িকে রোগী পরিবহন করতে দেয় না এবং বাইরের গাড়ির চালকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দিয়ে থাকেন।

    এ সময় ঢাকাগামী অ্যাম্বুলেন্স চালক মোশারফ মিয়াকে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে মারধর করা হয় এবং তার কাছ থেকে জোরপূর্বক চাবি কেড়ে নেয়া হয়। বাধা দেয়ার কারণে অ্যাম্বুলেন্সটি প্রায় ৪০ মিনিট আটকে থাকে। সেই সময় শিশুটির অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং সেখানেই নবজাতকের মৃত্যু ঘটে।

    নিহতের নানী সেফালী বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা হাতজোড় করে বলেছিলাম গাড়িটা ছাড়তে। আমার নাতির শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। ওকে ঢাকায় নিতে পারলে বাঁচানো যেত। কিন্তু ওরা আমার নাতিকে বাঁচতে দেয়নি। আমি এই নিষ্ঠুর হত্যার বিচার চাই।’

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শরীয়তপুর সদর ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট সক্রিয়। এরা বাইরের কোনো গাড়িকে রোগী পরিবহন করতে দেয় না এবং জোর করে তাদের অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করতে বাধ্য করে রোগী ও স্বজনদের। এতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

    ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই চালক সবুজ দেওয়ান ও আবু তাহের দেওয়ান পালিয়ে যায়।

    পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

    স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন। সচেতন মহলের দাবি, এমন চরম অমানবিকতা ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এখনই দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও প্রাণহানির ঘটনা ঘটবে।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…