ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) তিন নম্বর আবাসিক হলে বিশেষ অভিযানে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হল টিউটর আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে কয়েকটি কক্ষ তল্লাশি করে একটি কক্ষ থেকে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহকারী প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক মো. আতিকুল ইসলাম মামুনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অন্য দুই সদস্য হলেন- সহকারী প্রক্টর ও প্রভাষক শাহরিয়ার মাহমুদ মিনার এবং বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজির প্রভাষক মো. শাহেদ আলম।
এদিকে, মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের সিট বাতিলসহ কোনো শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী ব্যবস্থা নিবে বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকের মতে, নিয়মিত তদারকি চালু থাকলে হলে এ ধরনের অপরাধ ঠেকানো সম্ভব।
তদন্ত কমিটির প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মামুন জানান, ‘অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং আরও কয়েকজনকে করা হবে। তদন্ত শেষ হতে ১০–১২ দিন সময় লাগবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। শিক্ষাঙ্গনে মাদক বা অসামাজিক কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। প্রক্টোরিয়াল টিম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।’
এআই