এইমাত্র
  • বকশীগঞ্জের এক স্কুলেরই ৬৬ ছাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা
  • নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে নিরাপত্তা জোরদার
  • যমুনায় জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর, নৌ চলাচল ব্যাহত
  • সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে এভারকেয়ার ছাড়লেন হাদি
  • আগামীকাল সাময়িক বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল
  • হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় গুজবে সয়লাব ফেসবুক : ফ্যাক্টওয়াচ
  • কওমী মাদ্রাসার বোর্ড পরীক্ষার সময়সূচি এগিয়ে আনা হয়েছে
  • কলম্বিয়ায় স্কুলবাস খাদে পড়ে নিহত ১৭
  • হাদির ওপর হামলায় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না: সিইসি
  • হাদিকে গুলি করা অভিযুক্ত মাসুদের ভারতে গিয়ে সেলফি
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেটে সাবার

    মো. ইমরান হোসাইন, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০১:১৭ এএম
    মো. ইমরান হোসাইন, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০১:১৭ এএম

    আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেটে সাবার

    মো. ইমরান হোসাইন, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০১:১৭ এএম

    বরগুনার আমতলী উপজেলার চুনাখালী বাজার স্লুইজগেট সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুই পাশের লাখ টাকার গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালী গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মোঃ রুবেল আহমেদের বিরুদ্ধে।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে তিনি এসব গাছ বিক্রি করেছেন। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ রক্ষায় দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

    জানা গেছে, ১৯৬৮ সালে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড চুনাখালী এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে। বাঁধের দুই পাশে তখন মেহগনি, রেইন্টি ও চাম্বলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ওই বাঁধের শতাধিক গাছ মোঃ রুবেল আহমেদ এক লাখ টাকায় জলিল বেপারীর কাছে বিক্রি করেন। শনিবার থেকে জলিল বেপারী গাছ কাটা শুরু করেন এবং সোমবার রাতে ট্রাকে করে এসব গাছ সরিয়ে নেন।

    স্থানীয়রা জানান, গত দুই দিন ধরে রুবেল আহমেদ ও জলিল বেপারী ৫-৬ জন সহযোগী নিয়ে বাঁধের গাছ কেটে স্তুপ করছিলেন। বিষয়টি বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা না নিলে পুরো চুনাখালী বাঁধের ৫ কিলোমিটার এলাকার গাছ কেটে নেয়া হবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

    গাছ ক্রেতা জলিল বেপারী বলেন, ‘রুবেল আহমেদ আমার কাছে এক লাখ টাকায় গাছ বিক্রি করেছেন। কিছু গাছ ইতোমধ্যে কলাপাড়ায় বিক্রি করেছি। তিনি আমার কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন, বাকি টাকা গাছ বিক্রি শেষে দেয়া হবে।’

    অভিযুক্ত কর্মকর্তা মোঃ রুবেল আহমেদ স্বীকার করে বলেন, ‘সরকারি জমির গাছ কেটে বিক্রি করা আমার ভুল হয়েছে। প্রায় ১৬ হাজার টাকার গাছ বিক্রি করেছি। আর গাছ কাটা হবে না।’

    এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে, তারাই ব্যবস্থা নেবে।

    বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হান্নান প্রধান জানান, ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    এদিকে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…