এইমাত্র
  • বার্সেলোনাকে কিনতে ১০ বিলিয়ন ইউরো’র প্রস্তাব সৌদি যুবরাজের
  • বিজয় দিবসে যেসব সড়ক এড়িয়ে চলতে বলেছে ডিএমপি
  • সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শামীমের বাড়িতে শোকের মাতম
  • রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধার পর খুলে দেওয়া হবে স্মৃতিসৌধের প্রবেশদ্বার
  • হাসিনা-কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল
  • কাজিপুরে মানসিক ভারসম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
  • সিরাজগঞ্জে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
  • গভীর রাতে কৃষকের গরু জবাই করে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা
  • খড়ের আড়ালে চোলাই মদ পাচারের চেষ্টা, আগুন দিল জনতা
  • ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    ধর্ম ও জীবন

    কোরআনে যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করা হয়েছে

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:২২ পিএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:২২ পিএম

    কোরআনে যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করা হয়েছে

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:২২ পিএম

    বন্ধু মানুষের জীবনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বন্ধুর আচার-আচরণের মাধ্যমে একজন মানুষকে বিবেচনা করা হয়। একজন মানুষের রুচি, প্রকৃতি তার বন্ধুর মাধ্যমেই প্রকাশ পায়।

    সবথেকে বড় কথা হলো মুসলমানের জবান হবে এক জবান। ওয়াদা দিয়ে পরে টাকার লোভে জবান বদলানো ব্যাক্তিরা কখনও মুসলমানের তালিকায় থাকতে পারে না।

    সাধারণত নিজের রুচি ও মানসিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করেই মানুষ বন্ধু নির্বাচন করে। নিজের থেকে ভিন্ন রুচির কারো সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় থাকলেও বন্ধুত্ব গড়ে উঠা সম্ভব নয়। সৎসঙ্গে স্বর্গবাস ও অসৎসঙ্গে সর্বনাশ প্রবাদটির প্রচলনই হয়েছে মানুষের আচরণ, প্রকৃতি ও বন্ধুর পরিচয়ের ওপর নির্ভর করে।

    কোরআন ও হাদিসে বন্ধু নির্বাচনের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আর ঈমানদার পুরুষ এবং ঈমানদার নারী একে অপরের বন্ধু। তারা ভালো কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। নামাজ প্রতিষ্ঠিত করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও রাসুলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন-যাপন করে। তাদের ওপর আল্লাহ অনুগ্রহ করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী সুকৌশলী।’ (সুরা তাওবা, আয়াত : ৭১)।

    এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর রীতিনীতি অনুসরণ করে। কাজেই তোমাদের প্রত্যেকেই যেন লক্ষ করে, সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৩৩)

    কোরআনের এই আয়াত ও হাদিসে বন্ধু নির্বাচনে একজন মানুষ যেসব গুণ বিবেচনা করতে পারে তার ঈঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এখানে মূলত ভালো চরিত্রের ঈমানদার ব্যক্তিদের বন্ধু বানানোর প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে।

    অসৎ, মন্দ ও অবিশ্বাসীদের বন্ধু বানানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে কোরআনের অন্য আয়াতে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন—

    لَا یَتَّخِذِ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الۡكٰفِرِیۡنَ اَوۡلِیَآءَ مِنۡ دُوۡنِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۚ وَ مَنۡ یَّفۡعَلۡ ذٰلِكَ فَلَیۡسَ مِنَ اللّٰهِ فِیۡ شَیۡءٍ اِلَّاۤ اَنۡ تَتَّقُوۡا مِنۡهُمۡ تُقٰىۃً ؕ وَ یُحَذِّرُكُمُ اللّٰهُ نَفۡسَهٗ ؕ وَ اِلَی اللّٰهِ الۡمَصِیۡرُ

    বিশ্বাসী (মুমিন)গণ যেন বিশ্বাসী (মুমিন)দেরকে ছাড়া অবিশ্বাসী (কাফের)দেরকে অভিভাবক (বা অন্তরঙ্গ বন্ধু) হিসেবে গ্রহণ না করে। যে কেউ এমন করবে, তার সাথে আল্লাহর কোন সম্পর্ক থাকবে না। তবে ব্যতিক্রম, যদি তোমরা তাদের কাছ থেকে কোন ভয় আশংকা কর (তাহলে আত্মরক্ষার জন্য কৌশল অবলম্বন করতে পার।) আর আল্লাহ তার নিজের সম্বন্ধে তোমাদেরকে সাবধান করছেন এবং আল্লাহর দিকেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। (সুরা আল ইমরান, আয়াত : ২৮)

    এ আয়াতে অবিশ্বাসী কাফেরদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, মুসলিমদের কোন ব্যাপারে সাহায্য-সহযোগিতার চুক্তি করার ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, যে কেউ সেটা করবে তার সাথে আল্লাহর সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে। আল্লাহর দ্বীনে তার কোন অংশ থাকবে না। কেননা কাফেরদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঈমানের সাথে একত্রিতভাবে থাকতে পারে না। ঈমান শুধু আল্লাহ ও আল্লাহর বন্ধু মুমিনদের সাথে সম্পর্ক রাখতে বলে যারা আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করে এবং আল্লাহর শক্ৰদের সাথে লড়াই করে।

    এফএস

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…