নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস সংযোগ বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও দুজন মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার সালমা বেগম ও তানজিলা আক্তার তিশা এবং শনিবার ভোরে আসমা বেগম জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ জনে, যার মধ্যে চারজনই একই পরিবারের।
বাবা-মা ও ভাই-বোনকে হারানো ১১ বছরের শিশু মুনতাহার পরিবারের আর কেউ বেঁচে রইল না। বাবা হাসান গাজী, মা সালমা বেগম, ছোট বোন জান্নাত এবং ভাই রাইয়ান কাকী আসমা বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তবে এ খবর এখনও জানে না সে; হাসপাতালের বেডে শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।
স্বজনরা জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মুনতাহা। মা-বাবাকে দেখতে চাচ্ছে সে, খুঁজছে ভাই-বোনকেও। কিন্তু তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো পরিবারের কেউ আর বেঁচে নেই। মিজমিজি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তার বাবা, মা, ভাই ও বোনকে। নিহত অপর নারী তাহেরা বেগম হাসান গাজীর শাশুড়ি।
হতাহতদের স্বজন মরিয়ম আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'এত বড় একটা ঘটনা ঘটলেও জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন থেকে কেউ খোঁজ নেয়নি, দগ্ধদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি।'
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. সুলতান মাহমুদ শিকদার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিতাস গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে সিদ্ধিরগঞ্জের পূর্বপাইনাদির জাকির খন্দকারের টিনশেড বাড়িতে গত ২২ আগস্ট দুই পরিবারের ৯ জন অগ্নিদগ্ধ হন।
এর মধ্যে হাসান গাজীসহ তাঁর স্ত্রী, দুই মেয়ে ও ছেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাদের মধ্যে শুধু মুনতাহা বেঁচে আছে। তানজিল হোসেনের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে তানজিলা আক্তার তিশা মারা গেছেন। তিশার মা আসমা বেগম শনিবার সকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এবং ছোট ভাই আরাফাত হোসেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরডি