ভোলায় সদর উপজেলার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইফুল্লাহ আরিফ (২৯) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
শুক্রবার (২৯) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফ ভোলা শহরের কালিবাড়ী রোডের নবী মসজিদ এলাকার বাসিন্দা মো. বশির আহমেদ মাস্টারের ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
নিহতের বাবা বশির আহমেদ জানান, প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর ফজরের আযান দিলে নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য বাসার গেট খুলতেই দেখি রক্ত। একটু সামনে এগিয়ে দেখি একটি লাশ পড়ে আছে। চেয়ে দেখলাম আমার ছেলে আরিফ। পরে তাকে জড়িয়ে ধরে বাবা বলে চিৎকার দিলে আশপাশের মানুষ ছুটে আসে।
তিনি আরও জানান, আমার ছেলের মাথার সামনে ও পিছনে গুরুতর জখম করা হয়েছে। তার হাত ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমার ছেলেকে অনেক কষ্ট দিয়ে মেরেছে তারা। এ সময় তিনি হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন।
আরিফের মা আহাজারি করে জানান, আমার একটাই ছেলে। রাতে আরিফ আমার কাছে এসে আমার শারীরিক খোঁজখবর নিয়েছিল। এরপর রাত ১২ টায় তার রুমে ঘুমাতে যায়। সকালে উঠে দেখি বাসার সামনে রক্তমাখা লাশ পড়ে আছে। কে বা কাহারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে তা জানি না। তবে আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের বিচার চাই।
স্থানীয়রা বলছেন, আরিফ ছেলে হিসেবে অনেক ভদ্র এবং নম্র স্বভাবের ছিল। তার শোকে স্তব্ধ পুরো এলাকা। তারা বলছেন, যদি সে অপরাধী হতো তাহলে তার জন্য দেশে আইন ছিল। কিন্তু একটি মানুষকে এভাবে হত্যা করা, এটা তারা মেনে নিতে পারছেন না। সঠিক তদন্ত করে দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তার করা হোক, এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাত মোহাম্মদ হাসনাইন পারভেজ জানান, ‘পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।’
আরডি