এইমাত্র
  • বকশীগঞ্জের এক স্কুলেরই ৬৬ ছাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা
  • নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে নিরাপত্তা জোরদার
  • যমুনায় জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর, নৌ চলাচল ব্যাহত
  • সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে এভারকেয়ার ছাড়লেন হাদি
  • আগামীকাল সাময়িক বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল
  • হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় গুজবে সয়লাব ফেসবুক : ফ্যাক্টওয়াচ
  • কওমী মাদ্রাসার বোর্ড পরীক্ষার সময়সূচি এগিয়ে আনা হয়েছে
  • কলম্বিয়ায় স্কুলবাস খাদে পড়ে নিহত ১৭
  • হাদির ওপর হামলায় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না: সিইসি
  • হাদিকে গুলি করা অভিযুক্ত মাসুদের ভারতে গিয়ে সেলফি
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    স্বয়ং আল্লাহ ছাড়া এই নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ

    মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১২:৪৩ এএম
    মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১২:৪৩ এএম

    স্বয়ং আল্লাহ ছাড়া এই নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ

    মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১২:৪৩ এএম

    'নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্বয়ং আল্লাহ ছাড়া এই নির্বাচন আর কেউ ঠেকাতে পারবে না। নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছেই। তারপরও আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে। আর নির্বাচনে অতন্ত্র পাহাড়া দেবেন এই দেশের জনগণ।' এ কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

    দীর্ঘ ১১ বছর পর শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে নেত্রকোনা জেলা শহরের ঐতিহাসিক মোক্তারপাড়া মাঠে জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনের উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, '২০২৪ সালের ছাত্র গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার আগ পর্যন্ত যারা বিচার বহির্ভূত হত্যার স্বীকার হয়েছেন তাদের সংখ্যা তিন হাজারেরও অধিক, যারা গুম হয়েছেন, খুন হয়েছেন, রাজনৈতিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, পুলিশ কাস্টডি এবং জেলখানায় মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের সংখ্যা তখন পর্যন্ত ছিল সাত হাজার একশত আটাশি জন। এখন সেই হিসাব অনেক বেশি। ২০২৪ সালে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে যারা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন দেশের জন্যে, গণতন্ত্রের জন্যে, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যে, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের জন্যে জাতিসংঘের হিসাব মতে তাদের সংখ্যা ১৪০০ এর বেশি। যারা আহত হয়েছেন, চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, অন্ধত্ব বরণ করেছেন, তাদের সংখ্যা বিশ হাজারেরও বেশি। এরকম একটি রাষ্ট্রীয় অনাচারের মধ্য দিয়ে আমরা গিয়েছি। আমি নিজেও গুমের শিকার হয়েছিলাম, আমার দীর্ঘ জীবনের একটি অংশ, প্রায় দশ বছর আমি নির্বাসনে থাকতে বাধ্য হয়েছি। আমরা প্রথম বাংলাদেশ এবং শেষ বাংলাদেশের রাজনীতি করি। আমাদের উদ্দেশ্য, রাজনীতি এবং ঠিকানা বাংলাদেশই প্রথম, সবার আগে বাংলাদেশ।'

    জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক ডাঃ আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ আলমগীর, জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলম, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ।

    সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। জেলা শহরের প্রতিটি রাস্তা ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে সাজানো হয়েছে। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে এখন দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রত্যক্ষ ভোট গ্রহণ চলছে। সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন।

    সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের জন্য মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১০টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভায় মোট ১৫টি সাংগঠনিক ইউনিটির প্রত্যেকটির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ১,৫১৫ জন কাউন্সিলর সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ করবেন।

    এবারের সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন— জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক, অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হক (ছাতা প্রতীক), জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক (চেয়ার প্রতীক)।

    সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন— জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ডা. মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী (মাছ প্রতীক), যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম মনিরুজ্জামান দুদু (ফুটবল প্রতীক), জেলা যুবদলের সাবেক ১নং সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনি (গরুর গাড়ি প্রতীক)।

    দলীয় সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর। ওই সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ উদ্দিন খান সভাপতি, অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং এস এম মনিরুজ্জামান দুদু সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

    পরবর্তীতে কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে ৬৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ডা. মো. আনোয়ারুল হক আহ্বায়ক এবং ডা. মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী সদস্য সচিব ছিলেন।

    এআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…