রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকারের দাবিতে রাকসু কোষাধ্যক্ষের কার্যালয় ভাঙচুর ও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
রবিবার (৩১ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে চলমান অবস্থান কর্মসূচির একপর্যায়ে এই ভাঙচুর করেন তারা। এতে রাকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ বন্ধ রয়েছে।
অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে তারা হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। এ সময় রাকসুর কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ের সামনে বারান্দায় রাখা একটি চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করেন তারা। পরে সাড়ে ১০টার দিকে রাকসু ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন সকাল ৯টা থেকে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করে ছাত্রদল। আর সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়। সোয়া ১০টার দিকে ছাত্রদলের সভাপতির সুলতান আহমেদ রাহীর নেতৃত্বে কিছু নেতাকর্মী কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে মনোনয়ন বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে বারান্দায় থাকা একটি প্লাস্টিকের চেয়ার ভেঙে ফেলে এবং একটি টেবিল উল্টে দেয়। এরপর ফটকে তালা মেরে দেয় তারা।
ভাঙচুরের বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘আমরা কোনও ভাঙচুর করিনি। টেবিলটা শুধু সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করবো।’
রাকসু কোষাধ্যক্ষ সেতাউর রহমান বলেন, ‘আজ সকাল থেকেই তারা কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছে। এখন আবার তালাবদ্ধ করে রেখেছে। আমি নিজেও ভিতরে ঢুকতে পারছি না। তাদের দাবি জানানোর বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে। এটা কোনো প্রক্রিয়া হতে পারে না।’
ছাত্রদলের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাবি শাখার সদস্য অধ্যাপক এ. নাঈম ফারুকি, সহ-প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক আতাউর রহমান, রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু, সিনিয়র সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান মিজান ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল আলিমসহ অন্য নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, ‘আমরা বিষয়টি মাত্র জানতে পেরেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ও আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সুলতান আহমেদ রাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী নন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এইচএ