ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে দীর্ঘ লাইনের কারণে ৪৬ যাত্রীর ফ্লাইট মিসের খবর পাওয়া গেছে। তবে বিমানবন্দরের এক ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বশীল ভূমিকার কারণে শেষ পর্যন্ত যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পেরেছেন। ভুক্তভোগী যাত্রীদের দাবি বিমানবন্দরে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের কারণেই তারা প্রবাসে আসতে পেরেছেন।
গত শনিবার (৩০ আগস্ট ) সকালে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরগামী ৪৬ জন যাত্রী সময়মতো বিমানবন্দরে প্রবেশ করলেও দীর্ঘ লাইনের কারণে বিমান মিসের এমন ঘটনা ঘটে।
জানাযায়, সঠিক সময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছেও ইমিগ্রেশনে দীর্ঘ লাইন থাকায় ভুক্তভোগী যাত্রীরা যাত্রা করতে পারেননি। পরে ভুক্তভোগীরা বিমানবন্দরে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী এক যাত্রী সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, শনিবার ইউএস বাংলার সকাল ৮ টা ২৫ মিনিটে মালয়েশিয়াগামী ৩৬ জন প্যাসেঞ্জার বোর্ডিং সম্পন্ন করলেও, তারা ইমিগ্রেশনের পার হওয়ার আগেই বিমানের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তারা যাত্রা করতে ব্যর্থ হন। একইভাবে সিংগাপুরগামী ১০ জন প্যাসেঞ্জারও বিমানে উঠতে পারেন নি। এ সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান কে তারা বিষয়টি অবগত করেন। তিনি ইউএস বাংলা ও ইমিগ্রেশনকে বিষয়টি সমাধান করার জন্য নির্দেশ দেন।
পরে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন গতকাল রোববার (৩১ আগস্ট) ভুক্তভোগী যাত্রীদের জন্য ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে এবং এক রাত হোটেলে থাকার ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন যাত্রী বলেন, বিমানের ফ্লাইট মিস হওয়ায় আমরা খুব চিন্তায় ছিলাম। তবে এয়ারপোর্ট এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খুব আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের সমস্যা সমাধান করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানবন্দরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, যাত্রীরা বিমান মিস করার বিষয়টি আমাকে অবগত করলে আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বিমান কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি আমার দায়িত্বের জায়গা থেকেই যাত্রীদের সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করেছি মাত্র। তিনি ইউএসবাংলা কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ জানান সার্বিক সহযোগিতার জন্যে।