এইমাত্র
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও ২ জন আটক
  • প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উপদেষ্টার দপ্তরের নির্দেশে তদন্ত শুরু
  • সাবেক বিচারপতি মেজবাহ উদ্দিন মারা গেছেন
  • বাসভবন-কার্যালয় প্রস্তুত, সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান
  • ফটিকছড়িতে অবাধে কাটা হচ্ছে পাহাড়-টিলা-কৃষি জমি, হুমকিতে পরিবেশ
  • আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
  • মেসি-শচীনের ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ, উপহার বিনিময়
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় মামলা
  • হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু আজ
  • বাংলাদেশি শান্তিকর্মীদের ওপর হামলা, সুদানকে সতর্কবার্তা জাতিসংঘের
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ভাইরাল ৩০ লাখ টাকার চেকের আসল রহস্য জানাল ছাত্রদল নেতা

    জুয়েল ফরাজী, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:১১ পিএম
    জুয়েল ফরাজী, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:১১ পিএম

    ভাইরাল ৩০ লাখ টাকার চেকের আসল রহস্য জানাল ছাত্রদল নেতা

    জুয়েল ফরাজী, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:১১ পিএম

    পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব নেছার উদ্দিন হাওলাদারের হাতে পাওয়া ৩০ লাখ টাকার একটি চেক সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় কুয়াকাটার মোস্তফা আকনের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার আসল রহস্য তুলে ধরেন নেছার উদ্দিন।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নেছার উদ্দিন হাওলাদার জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে তিনি কুয়াকাটা মৌজা (জেএল-৩৪, খতিয়ান নং-২১০৬, দাগ নং-৩৬৫৫) এর ০.১৫ একর জমি মোস্তফা আকনের কাছ থেকে মোট ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বায়না করেন। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৩৬ লাখ টাকা তিনি জমির মালিককে পরিশোধ করেন। শর্ত ছিল জমির পারমিশন সম্পন্ন করে তার নামে হস্তান্তর করা হবে।

    কিন্তু গত ২১ আগস্ট ২০২৫ সালে তার অজান্তে জমিটি অন্যত্র বিক্রি করে দেন জমির মালিক মোস্তফা আকন। বিষয়টি জানতে পেরে নেছার উদ্দিন মালিকের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি অতিরিক্ত দামে জমি বিক্রি করেছেন বলে জানান এবং বায়নার টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে গত ২৯ আগস্ট দেখা করলে মোস্তফা আকন তার ছেলে হালিম আকনের আইএফআইসি ব্যাংক একাউন্ট থেকে ৩০ লাখ টাকার একটি স্বাক্ষরিত চেক নেছারকে দেন।

    তবে ৩১ আগস্ট ব্যাংকে চেকটি ভাঙাতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, একাউন্ট মালিকের আবেদনের ভিত্তিতে চেকটি বন্ধ রাখা হয়েছে। পরে যোগাযোগ করলে হালিম আকন জানান, একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা নেই তবে নগদে পরিশোধ করবেন। কিছুক্ষণ পর জমির মালিক মোস্তফা আকন ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে নগদ ২৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেন এবং বাকি টাকা পরবর্তীতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

    এসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্যে বলা হয়, নেছার উদ্দিন নাকি জোরপূর্বক চেক নিয়েছেন। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে তিনি ৩শ’ টাকার স্ট্যাম্পে করা বায়নার কপি দেখিয়ে এ তথ্যকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করেন।

    অন্যদিকে অভিযোগকারী হালিম আকনের বাবা মোস্তফা আকন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নেছার উদ্দিন আমাদের কাছে জমির টাকা পাবে, তার প্রেক্ষিতে চেক দেওয়া হয়েছে। এটি কোনো চাঁদাবাজি বা জোরপূর্বক দেওয়া হয়নি। আমার ছেলে হালিমকে কেউ ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করিয়েছে। নেছারের সঙ্গে আমাদের দেনা-পাওনার বিষয় সমাধান হয়ে গেছে। আমাদের পরিবারের কারো কোনো অভিযোগ নেই।’

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…