এইমাত্র
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও ২ জন আটক
  • প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উপদেষ্টার দপ্তরের নির্দেশে তদন্ত শুরু
  • সাবেক বিচারপতি মেজবাহ উদ্দিন মারা গেছেন
  • বাসভবন-কার্যালয় প্রস্তুত, সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান
  • ফটিকছড়িতে অবাধে কাটা হচ্ছে পাহাড়-টিলা-কৃষি জমি, হুমকিতে পরিবেশ
  • আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
  • মেসি-শচীনের ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ, উপহার বিনিময়
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় মামলা
  • হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু আজ
  • বাংলাদেশি শান্তিকর্মীদের ওপর হামলা, সুদানকে সতর্কবার্তা জাতিসংঘের
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    মেঘনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার নামে টাকা আদায়

    মো. ইব্রাহীম খলিল মোল্লা, মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৫ পিএম
    মো. ইব্রাহীম খলিল মোল্লা, মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৫ পিএম

    মেঘনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার নামে টাকা আদায়

    মো. ইব্রাহীম খলিল মোল্লা, মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৫ পিএম

    কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ৪০ নম্বর শিবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফি আদায়ের কোনো বিধান না থাকলেও এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৬০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে।

    অভিযোগে জানা গেছে, চলতি শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় প্রান্তিক পরীক্ষায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৬০ টাকা, তৃতীয় শ্রেণির কাছ থেকে ১০০ টাকা, চতুর্থ শ্রেণির কাছ থেকে ১১০ টাকা এবং পঞ্চম শ্রেণির কাছ থেকে ১২০ টাকা করে নেওয়া হয়।

    পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াসিন বলেন, 'পরীক্ষার ফি-এর কথা বলে আমার কাছ থেকে ১২০ টাকা নেওয়া হয়েছে।' একই অভিযোগ করে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফুয়াদ জানান, 'তার কাছ থেকেও ১১০ টাকা নেওয়া হয়েছে।'

    বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে মোট ৮ জন শিক্ষক পদায়িত আছেন। তবে ৪ মাস ধরে ১ জন শিক্ষক দীর্ঘ ছুটিতে থাকায় কার্যত ৭ জন শিক্ষক দিয়ে পুরো বিদ্যালয়ের পাঠদান চালানো হচ্ছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫৪ জন। এত শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষকসংখ্যা কম থাকায় পাঠদানে চাপ তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সীমিত জনবল দিয়ে পাঠদান চালিয়ে নিতে গিয়ে প্রতিদিনই নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীরা যেমন কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা পাচ্ছে না, তেমনি শিক্ষকরাও অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান শিক্ষকরা।

    অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক হারুন মিয়া টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, 'আগে নানা খাতে বরাদ্দ আসত, এখন আসে না। আমি অতিরিক্ত একজন শিক্ষক রেখেছি, তার বেতন এখান থেকে দিতে হয়। আবার স্কুলের একটি দরজাও মেরামত করেছি। তাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে আমি রেজুলেশনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারি।'

    উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গাজী মো. আনোয়ার হোসেন এ ধরনের অর্থ আদায়কে সরাসরি অনিয়ম বলে মন্তব্য করেছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফি বাবদ কোনো টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় সম্পূর্ণ বেআইনি বলে জানান তিনি।

    সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এভাবে টাকা নেওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ের নামে টাকার বোঝা চাপিয়ে দেওয়া দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য বাড়তি কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মনে করছেন তারা।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…