এইমাত্র
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও ২ জন আটক
  • প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উপদেষ্টার দপ্তরের নির্দেশে তদন্ত শুরু
  • সাবেক বিচারপতি মেজবাহ উদ্দিন মারা গেছেন
  • বাসভবন-কার্যালয় প্রস্তুত, সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান
  • ফটিকছড়িতে অবাধে কাটা হচ্ছে পাহাড়-টিলা-কৃষি জমি, হুমকিতে পরিবেশ
  • আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
  • মেসি-শচীনের ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ, উপহার বিনিময়
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় মামলা
  • হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু আজ
  • বাংলাদেশি শান্তিকর্মীদের ওপর হামলা, সুদানকে সতর্কবার্তা জাতিসংঘের
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    বোরকা পরে লুকিয়ে থেকে চিকিৎসককে গলা কেটে হত্যা: ব্যক্তিগত সহকারী গ্রেপ্তার

    মেহেদী হাসান তানিম, নাটোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
    মেহেদী হাসান তানিম, নাটোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩১ পিএম

    বোরকা পরে লুকিয়ে থেকে চিকিৎসককে গলা কেটে হত্যা: ব্যক্তিগত সহকারী গ্রেপ্তার

    মেহেদী হাসান তানিম, নাটোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩১ পিএম

    নাটোরে আলোচিত চিকিৎসক ডা. এএইচএম আমিরুল ইসলাম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হাসপাতালেরই এক স্টাফকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জনসেবা ক্লিনিকে নাটোর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন প্রেস ব্রিফিং করেন।

    পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার পর থেকে তথ্য ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় যৌথভাবে কাজ করার একপর্যায়ে হাসপাতালের স্টাফ আসাদুল ইসলাম আসাদকে মূল আসামি হিসেবে শনাক্ত করা হয়। আসাদ বগুড়ার ধুনট উপজেলার বাসিন্দা। ২০২৪ সালে এসএসসি পাশের পর তিনি টিএমএসএস মেডিকেলে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চাকরি শুরু করেন। পরে নাটোরে ডা. আমিরুল ইসলামের পিএ হিসেবে তিন বছর ধরে কর্মরত ছিলেন জনসেবা ক্লিনিকে।

    কর্মরত অবস্থায় হাসপাতালের এক নারী স্টাফকে ঘিরে ডা. আমিরুল, ওই নারী এবং আসাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে গত ২৫ আগস্ট ডা. আমিরুল ওই নারী স্টাফ এবং আসাদকে মারধর করেন এবং চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করেন। এরপর আসাদ বগুড়ায় ফিরে গেলেও তার মধ্যে প্রতিহিংসার জন্ম হয়। প্রতিশোধ নিতে তিনি বগুড়া থেকে একটি বোরকা ও দুটি ছুরি কিনে ফের নাটোরে ফিরে আসেন।

    পুলিশ সুপার আরও জানান, ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় বোরকা পরে আসাদ ডা. আমিরুল ইসলামের চেম্বারের কক্ষে প্রবেশ করেন এবং খাটের নিচে লুকিয়ে থাকেন। রাত ১টার দিকে ডাক্তার নিজের কক্ষে ফিরে আসেন এবং ওষুধ সেবন শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে গভীর ঘুমের মধ্যে থাকা ডা. আমিরুলের ওপর আসাদ ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তাকে হত্যা করেন। পরে ভোর সোয়া ৬টার দিকে ক্লিনিক থেকে বেরিয়ে যান আসাদ। যাওয়ার পথে তিনি বোরকাটি সিংড়া আইসিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এলাকার নদীতে এবং দুটি ছুরি নন্দীগ্রাম এলাকায় ফেলে দেন।

    পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন আরও বলেন, আমরা ঘটনার পর থেকেই প্রযুক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক তথ্য বিশ্লেষণ করেছি। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মূল আসামি আসাদকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। আসাদ দীর্ঘদিন ডা. আমিরুল ইসলামের পিএ হিসেবে কাজ করায় তার চলাফেরা ও অভ্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেন। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ও প্রতিহিংসার জেরেই তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। যে বিষয়গুলো সামনে এসেছে এবং আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিও দিতে রাজি হয়েছেন। মূলত ক্ষোভের বসেই তিনি এ কাজ করেছেন।

    গতকাল সোমবার নাটোরে জনসেবা ক্লিনিক থেকে ডা. এএইচএম আমিরুল ইসলাম নামের এক চিকিৎসকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আমিরুল ইসলাম ওই ক্লিনিকের মালিক।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…