প্রায় ২২ মাস পর ব্রাজিল জাতীয় দলে ফেরার দ্বারপ্রান্তে ছিলেন নেইমার জুনিয়র। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচের আগে হঠাৎই ইনজুরির শিকার হওয়ায় তাকে রাখা হয়নি চূড়ান্ত স্কোয়াডে। যদিও প্রাথমিক তালিকায় ছিল তার নাম, শেষ পর্যন্ত দল থেকে বাদ পড়ায় শুরু হয় নানা আলোচনা। দল ঘোষণার সময় আনচেলত্তি জানিয়েছিলেন, নেইমার চোটে আছেন, আর তাই তাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
এদিকে গত ৩১ আগস্ট এক সাক্ষাৎকারে নেইমার তার বাদ পড়া বিষয়ে জানান, ‘আসলে এটা বড় কোনো সমস্যা ছিল না। আমি খেলেছি, তাই শারীরিক কারণে বাদ পড়ার প্রশ্নই আসে না। সম্ভবত কৌশলগত কারণে বাদ পড়েছি, যা কোচের সিদ্ধান্ত এবং আমি সেটার সম্মান করি।’
এ বিষয়ে আনচেলত্তি বলেছেন, 'নেইমারকে বাদ দেয়া টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত। খেলোয়াড় কী করছে, অতীতে কী করেছে, শারীরিক ফিটনেস—সব মিলিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নেইমারের মান নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, কিন্তু প্রতিদিন তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হয়। জাতীয় দলে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। আমাদের হাতে প্রায় ৭০ জন যোগ্য খেলোয়াড় রয়েছে।'
চিলির বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি জানান, প্যারাগুয়ের বিপক্ষে যেসব ফরোয়ার্ড খেলেছেন, তারাই থাকবেন পরবর্তী ম্যাচেও। তিনি বলেন, ‘প্যারাগুয়ের ম্যাচে আমরা দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট ছিলাম। চিলির বিপক্ষেও চাই একই আক্রমণাত্মক ও গতিময় খেলা, সঙ্গে রক্ষণে শক্তিশালী উপস্থিতি।’
নেইমারের জায়গায় জোয়াও পেদ্রোকে খেলানো হবে বলে জানিয়েছেন কোচ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জোয়াও পেদ্রো একজন গতিময় ও আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়। সে ১০ নম্বর পজিশনে বা সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলতে পারে। তার পেছনে এস্তেভাও ও রাফিনিয়া থাকতে পারে। আধুনিক ফুটবলে এমন খেলোয়াড়দের প্রয়োজন।’
আরডি