ঠিক ২০ বছর আগে ২০০৫ সালে এস্তাদিও মনুমেন্তালে আর্জেন্টিনার জার্সিটা গায়ে জড়িয়েছিলেন লিওনেল মেসি। আর এই একই স্টেডিয়ামে সম্ভবত জাতীয় দলের হয়ে আর্জেন্টিনার মাটিতে শেষ ম্যাচটিও খেলে ফেলেছেন লিও। এই শেষটা অবশ্য লিও রাঙিয়েছেন জোড়া গোল করে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা। যেখানে ৩-০ গোল ব্যবধানের জয় পেয়েছে আলবিসেলেস্তেরা।
এদিন ম্যাচ শুরুর আগে যখন আর্জেন্টিনা দল ওয়ার্ম আপ করছিল তখনই বোঝা গেছে এ ম্যাচের আবেগ কতখানি! মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ছিল এক অনন্য আবহ। যেমন উল্লাস, তেমনি বিদায়ের সুর। গ্যালারিতে বারবার ধ্বনিত হচ্ছিল, "ওলে, ওলে, ওলে... মেসি, মেসি!" — যেন গোটা জাতি তাঁকে আরেকবার ভালোবাসা জানাচ্ছিল মেসিকে।
এসময় মেসরি চোখে-মুখে লুকানো এক আবেগ স্পষ্ট ছিল। দুই দশকের বেশি সময়ের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এই মাঠে কত গোল করেছেন, সমর্থকদের আনন্দে ভাসিয়েছেন, তার কি কোনো হিসেব আছে! এজন্যই হয়তো চোখেল জল আটকে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছিল তার জন্য।
বিদায়ী এ ম্যাচে প্রথম গোলটিও করেন মেসি। মাঝমাঠ থেকে পারেদেসের দুর্দান্ত পাস ধরে আলভারেজ বক্সের দিকে এগিয়ে যান। ডান দিক থেকে চমৎকার এক পাস বাড়ান মেসির উদ্দেশে। সামনে ডিফেন্ডার ও গোলকিপার থাকা সত্ত্বেও অসাধারণ নিপুণতায় চিপ শটে বল জালে জড়ান মেসি। ৩২৪ দিন পর আর্জেন্টিনার জার্সিতে গোল পেলেন মেসি।
ম্যাচের প্রথমার্ধে আর কোনো গোল করতে পারেনি দু’দল। ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে আলভারেজের বদলি হিসেবে নামেন লাউতারো। মাঠে নামার চার মিনিটের মাথায় গোল করেন ইন্টার মিলানের এই স্ট্রাইকার। ৭৮তম মিনিটে নিকোলাস গঞ্জালেজের পাস থেকে গোল করেন লাউতারো মার্টিনেজ।
এরপর ৮০তম মিনিটে আবারও দেখা যায় মেসি ঝলক। মাঝমাঠ থেকে পাঠানো বলটি ডি-বক্সের মধ্যে সহজেই পেয়ে যান থিয়েগো আলমাদা। একটু এগিয়ে সরাসরি গোল পোষ্টে শট নেওয়ার সুযোগ ছিল তার কাছে। তবে তিনি তা না করে ‘কাট পাস’ করেন মেসিকে। যেখান থেকে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। এর ফলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় উঠে আসেন।
৮৯ মিনিটে হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি, কিন্তু বেরসিক অফসাইডের ফাঁদে পড়ে সেই গোল বাতিল হয়। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মেসিরা।
আরডি