যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম বদলে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’ বা ‘যুদ্ধ বিভাগ’ রাখার পরিকল্পনা করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৫ আগস্ট) ট্রাম্প এ বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন, যেখানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে ‘যুদ্ধ বিভাগ’ হিসেবে দ্বিতীয় নাম ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হবে। একই সঙ্গে মন্ত্রণালয় প্রধান পিট হেগসেথকে ‘সেক্রেটারি অব ওয়ার’ বা যুদ্ধমন্ত্রী হিসেবেও উল্লেখ করার নির্দেশ থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্বনাম আসলে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’-ই ছিল। ১৭৮৯ সালে জর্জ ওয়াশিংটনের সময় এটি প্রথম মন্ত্রিপরিষদ-স্তরের সংস্থা হিসেবে গঠিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে এটি রিব্র্যান্ডিং করে এর নাম দেওয়া হয় ‘ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স’।
যদিও ট্রাম্প নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে নামের ‘দ্বিতীয় রূপ’ ব্যবহারে অনুমোদন দিচ্ছেন, তবে আনুষ্ঠানিক ও স্থায়ীভাবে নাম পরিবর্তনে কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে। সে লক্ষ্যে আইন প্রণয়ন ও নির্বাহী সুপারিশের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথকে।
নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হলে পেন্টাগনের অধীন শত শত সংস্থা, ইউনিফর্ম, অফিসিয়াল লোগো, ইমেইল ঠিকানা এমনকি সফটওয়্যারেও পরিবর্তন আনতে হবে। মার্কিন গণমাধ্যমগুলো বলছে, এতে বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ হতে পারে। ফলে পেন্টাগনের ব্যয় কমানোর লক্ষ্য আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
এ উদ্যোগ এমন এক সময়ে এলো, যখন চীন বিশাল সামরিক মহড়া এবং নতুন প্রযুক্তির অস্ত্রশস্ত্র উন্মোচন করেছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, ট্রাম্পের এই নাম পরিবর্তন কেবল প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয়, বরং চীনসহ বিশ্বের প্রতিপক্ষদের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের এক রকম ‘মনস্তাত্ত্বিক ঘোষণা’।
আরডি