আর্জেন্টিনার হয়ে নিজ দেশের মাটিতে সম্ভবত শেষবারের মতো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেললেন লিওনেল মেসি। তার জোড়া গোলের সুবাদে ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। এই স্মরণীয় বিদায়ঘণ্টার সাক্ষী হয়ে রইল পুরো আর্জেন্টিনা ও বিশ্বজুড়ে কোটি ফুটবলপ্রেমী।
মেসির শেষ ম্যাচ ঘিরে আবেগ ছড়িয়ে পড়ে মাঠ ও গ্যালারিজুড়ে। এদিন ম্যাচ শুরুর আগে যখন আর্জেন্টিনা দল ওয়ার্ম আপ করছিল তখনই বোঝা গেছে এ ম্যাচের আবেগ কতখানি! মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ছিল এক অনন্য আবহ। যেমন উল্লাস, তেমনি বিদায়ের সুর। গ্যালারিতে বারবার ধ্বনিত হচ্ছিল, "ওলে, ওলে, ওলে... মেসি, মেসি!" — যেন গোটা জাতি তাঁকে আরেকবার ভালোবাসা জানাচ্ছিল মেসিকে।
এসময় মেসরি চোখে-মুখে লুকানো এক আবেগ স্পষ্ট ছিল। দুই দশকের বেশি সময়ের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এই মাঠে কত গোল করেছেন, সমর্থকদের আনন্দে ভাসিয়েছেন, তার কি কোনো হিসেব আছে! এজন্যই হয়তো চোখেল জল আটকে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছিল তার জন্য।
এদিকে ডি মারিয়া ভিডিওটির নিচে একটি কান্নার ইমোজি দিয়ে তার আবেগ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সেই ভিডিও শেয়ার করেন ‘মেসির বডিগার্ড’ নামেও পরিচিত রদ্রিগো ডি পল,।
যদিও ডি মারিয়া এরই মধ্যে জাতীয় দল থেকে বিদায় নিয়েছেন। তবে মেসির শেষ ম্যাচে একসঙ্গে মাঠে নামেন ডি পল। যদি আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ভবিষ্যতে আর কোনো প্রীতি ম্যাচ আয়োজন না করে, তবে এই ম্যাচই হতে পারে মেসির দেশের মাটিতে শেষ উপস্থিতি।
ডি পল ও ডি মারিয়া মেসির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের সঙ্গে মিলে তিনি জয় করেছেন ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ, ২০২১ ও ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা এবং ফাইনালিসিমা শিরোপা।
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে মেসির গোলসংখ্যা ৩৫, সঙ্গে রয়েছে ১৯টি অ্যাসিস্ট। জাতীয় দলের হয়ে তিনি করেছেন ১১৪টি গোল, যার মধ্যে ১০০টি এসেছে তার বিখ্যাত বাম পায়ের ছোঁয়ায়।
আর্জেন্টিনার বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচ হবে ৯ সেপ্টেম্বর, প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। তবে দেশের মাঠে মেসির এই বিদায়ী রাত স্মরণীয় হয়ে থাকবে তার ভক্ত ও সতীর্থদের হৃদয়ে। এই রাতের আবেগ, ভালোবাসা আর গর্বের স্মৃতি দীর্ঘদিন ঝলমল করবে আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসে।
আরডি