কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পরকীয়ার জেরে দেড় বছরের কন্যা শিশু নুসরাতকে গলা টিপে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি আলমগীর মিয়া (৩২) কে ৩ মাস পর গ্রেপ্তার করেছে র্যা ব।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভৈরব র্যা ব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র পুলিশ সুপার মো. মুহিত কবীর সের্নীয়াবাত।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টায় উপজেলা শিবপুর ইউনিয়নের টান কৃষ্ণনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যা বসূত্রে জানা যায়, ৫ বছর আগে ধোবাউড়া থানার চন্দ্রগুনা গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার মেয়ে আয়েশা খাতুনের সাথে নরসিংদী বেলাব থানার নিলক্ষীয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ওমর ফারুকের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর দুই বছর তাদের সংসার ভালো চললেও পরবর্তীতে আলমগীরের জন্য সংসারে কলহ সৃষ্টি হয়। তাদের সংসারে আলিফ নামে ৩ বছরের ছেলে ও নুসরাত নামে দেড় বছরের মেয়ে রয়েছে। ওমর ফারুক ভৈরবের পাদুক শ্রমিক ছিল, সেই সুবাদে দুই বছর আগে ওমর ফারুক শহরের জগন্নাথপুরের লক্ষ্মীপুর এলাকায় ভাড়া থাকতো। আলমগীরও পাদুকা শ্রমিক। একসাথে কাজ করতে গিয়ে ওমর ফারুকের পরিবারের সাথে আলমগীরের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে আয়েশা খাতুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ৩ বছরের ছেলে আলিফকে স্বামীর বাড়িতে ফেলে রেখে আলমগীরের সাথে লক্ষ্মীপুর চলে আসেন আয়েশা। ওই এলাকার শাহীন কবীর নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়ায় ওঠেন আয়েশা ও তার পরকীয়া প্রেমিক আলমগীর।
৭ জুন রাত ৭টায় মা আয়েশার বেগম চিৎকার চেচামেচি করে দেড় বছরের মেয়ে নুসরাতের মৃত্যুর খবর প্রতিবেশীসহ বাড়ির মালিককে জানায়। শিশুটির অস্বাভাবিক মৃত্যু ভেবে মা আয়েশা খাতুনকে পুলিশে তুলে দেন বাড়ির মালিক শাহীন কবীর। ৮ জুন নিহত শিশুটির দাদা আবুল কালাম বাদী হয়ে থানায় দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ভৈরব র্যা ব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র পুলিশ সুপার মো. মুহিত কবীর সের্নীয়াবাত বলেন, ঘটনার পর থেকে আলমগীর পলাতক ছিল। র্যা ব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার প্রধান আসামি আলমগীরকে টান কৃষ্ণনগর এলাকা থেকে মোবাইলে লুডু খেলা অবস্থায় গ্রেপ্তার করে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা শেষে আজ শুক্রবার সকালে আসামিকে ভৈরব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসকে/আরইউ