ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গুরুতর আহত হন বাংলাদেশি দুই শিক্ষার্থী। আহত দুই শিক্ষার্থী হলেন, আয়মান সরকার রাজিত (২০) ও হাসিবুল হাসান চৌধুরী (২১)। এই ঘটনার ১০ দিন পার হলেও জ্ঞান ফেরেনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আয়মানের (২০)।
গত ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক দুইটায় দক্ষিণ কোরিয়ার গাংওন-দো প্রদেশের বংপো এলাকায় স্কুটি দুর্ঘটনা ঘটে। মূলত সড়কের নিরাপত্তা বিধি অমান্য করে তারা তিনজন এক স্কুটিতে যাচ্ছিলেন, পথিমধ্যে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
আহত আয়মান সরকার রাজিত কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌরসভার ফতেহাবাদ গ্রামের বাসিন্দা, তার পিতার নাম নান্নু মিয়া সরকার। হাসিবুল হাসান চৌধুরী একই উপজেলার ধামতী গ্রামের বাসিন্দা, তার পিতার নাম ওমর ফারুক চৌধুরী। তারা দুজনেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা পারুয়ারা আব্দুল মতিন খসরু কলেজের সাবেক ছাত্র এবং বর্তমানে কিউংডং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ বিভাগে অধ্যয়নরত। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন এই দুই শিক্ষার্থী।
দুর্ঘটনার দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই শিহাবের স্কুটিতে করে রওনা হন তারা। পথে একটি স্পিডব্রেকারে স্কুটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়েন তিনজনই। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহতদের মধ্যে স্কুটি চালক গোলাম কিবরিয়া শিহাবের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়, তিনি ২০২৩ সালে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে দক্ষিণ কোরিয়া আসেন।
আহতরা ওনজু সেভেরেন্স খ্রিস্টান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথায় মারাত্মক আঘাত পাওয়ায় তারা এখনো অচেতন অবস্থায় আছেন। হাসিবের জ্ঞান ফিরলেও সে কাউকে চিনতে পারছেনা। এদিকে আয়মানের এখনো জ্ঞান ফিরেনি, আগামী সোমবার তাকে পরবর্তী ধাপের অপারেশন করা হবে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবরে পরিবার-পরিজনরা গভীর শোকে ভেঙে পড়েছেন।
এফএস