নেপালে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ ও নেপাল ড্র করেছে। বাংলাদেশ শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হলেও, শেষ পর্যন্ত তারা গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দশরথ স্টেডিয়ামে প্রথম প্রীতি ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। নেপাল তাদের মাঠে প্রথম থেকেই অধিকাংশ সময় আক্রমণ করেছে। বাংলাদেশ দলের ডিফেন্স যদিও শক্তভাবে দাঁড়িয়ে ছিল তবুও নেপাল বেশ কয়েকবার তাদেরকে চাপে ফেলেছিল। তপু বর্মন এবং কাজী তারিক রায়হানদের সতর্কতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ মাঝেমধ্যে বিপদে পড়েছিল।
নেপাল প্রথম ১০ মিনিটে আক্রমণ চালিয়ে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ পরীক্ষা করলেও, বাংলাদেশের প্রথম পাল্টা আক্রমণ থেকে সুমন রেজা গোল করলেও অফসাইডে তা বাতিল হয়ে যায়। এরপর খেলা গতি হারায়। বাংলাদেশ প্রথম সুযোগটি তৈরি করেছিল ৩৮ মিনিটে, কিন্তু সুমন রেজা ক্রসবারের ওপর দিয়ে শট নিয়ে গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন। এর কিছু পরে তপু বর্মন ভুল পাসে নেপালকে বল তুলে দিলেও, তারা তা কাজে লাগাতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা একটি পরিবর্তন আনেন। মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে তুলে শাহরিয়ার ইমনকে নামানো হয়। ৬৩ মিনিটে আরও দুটি পরিবর্তন হয়—জামাল ভূঁইয়া এবং সাদউদ্দিন এর বদলে নামেন কাজেম শাহ কিরমানি এবং তাজ উদ্দিন।
তবে নেপাল আক্রমণ চালিয়ে যেতেই থাকে। ম্যাচের ৭২তম মিনিটে রাকিবের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে বাংলাদেশ আবারও গোল থেকে বঞ্চিত হয়। ৭৬ মিনিটে তাজ উদ্দিন দুর্দান্ত একটি শট নিলেও, নেপাল গোলকিপার কিরণ চেমজং সহজেই সেটি রুখে দেন।
শেষ দিকে নেপাল গোলের জন্য মরিয়া হয়ে বাংলাদেশের রক্ষণভাগে চাপ সৃষ্টি করে তবে মিতুল মারমার চোটের কারণে পোস্টে দাঁড়িয়ে থাকা সুজন হোসেন তাদের আক্রমণ প্রতিহত করেন। বাংলাদেশের রক্ষণভাগে দুর্দান্ত দৃঢ়তা ছিল যার কারণে নেপাল কোনো গোল করতে পারেনি।
আগামী মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে আবারো মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নেপাল।
এমআর-২