এইমাত্র
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও ২ জন আটক
  • প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উপদেষ্টার দপ্তরের নির্দেশে তদন্ত শুরু
  • সাবেক বিচারপতি মেজবাহ উদ্দিন মারা গেছেন
  • বাসভবন-কার্যালয় প্রস্তুত, সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান
  • ফটিকছড়িতে অবাধে কাটা হচ্ছে পাহাড়-টিলা-কৃষি জমি, হুমকিতে পরিবেশ
  • আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
  • মেসি-শচীনের ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ, উপহার বিনিময়
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় মামলা
  • হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু আজ
  • বাংলাদেশি শান্তিকর্মীদের ওপর হামলা, সুদানকে সতর্কবার্তা জাতিসংঘের
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    কুমিল্লায় মা–মেয়েকে হত্যার ঘটনায় কথিত কবিরাজ গ্রেপ্তার

    জাহিদ হাসান নাইম, কুমিল্লা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৩ পিএম
    জাহিদ হাসান নাইম, কুমিল্লা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৩ পিএম

    কুমিল্লায় মা–মেয়েকে হত্যার ঘটনায় কথিত কবিরাজ গ্রেপ্তার

    জাহিদ হাসান নাইম, কুমিল্লা প্রতিনিধি প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৩ পিএম

    কুমিল্লা নগরের কালিয়াজুড়ি এলাকায় কথিত জ্বিন তাড়ানোর অজুহাতে চিকিৎসা করতে এসে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে মা–মেয়েকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে কথিত কবিরাজ মোবারক হোসেন। সোমবার দিবাগত রাতে কুমিল্লা রেলস্টেশন এলাকা থেকে কথিত কবিরাজ মোবারক হোসেনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

    গ্রেপ্তার হওয়া মোবারক হোসেন (২৯) কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি নিজেকে ঝাড়ফুঁকের কবিরাজ দাবি করতো।

    মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তাহমিনা বেগম ও তাঁর মেয়ের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। মেয়ে সুমাইয়ার ওপর জ্বিনের আছর রয়েছে, এই বিশ্বাস তৈরি করে পরিবারের আস্থা অর্জন করে মোবারক। নিয়মিত ওই বাসায় যাওয়া–আসার সুবাদেই ঘটনার সূত্রপাত।

    পুলিশ সুপার জানান, রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে একটি ব্যাগ নিয়ে তাহমিনার বাসায় যান মোবারক। ঝাড়ফুঁকের নামে ঘরে পানি ছিটিয়ে বের হলেও কিছুক্ষণ পর আবার ফিরে আসেন। তখন সুযোগ বুঝে সুমাইয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ দৃশ্য দেখে ফেলেন মা তাহমিনা বেগম। বাধা দিতে গেলে প্রথমে তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তাঁকে। এরপর সুমাইয়ার ঘরে ঢুকে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা চালান। প্রতিরোধ করলে তাকেও গলা টিপে হত্যা করেন।

    পুলিশ সুপার আরও জানান, ঘটনার পর বাসা থেকে চারটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ ও চার্জার চুরি করে পালিয়ে যান মোবারক। পরে ঘটনার পর দিন রাতে কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় নিহতদের বাসা থেকে চুরি করা মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

    পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হত্যার সময় ও পরবর্তী সময়ে মোবারকের চলাফেরার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত রবিবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুড়ি এলাকায় মা-মেয়েকে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, তাহমিনা বেগম ফাতেমা (৪৫) এবং তাঁর মেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন রিনতি (২৩)। ঘটনার পরদিন সোমবার ভোরে নিহত তাহমিনার ছেলে তাজুল ইসলাম রাতেই কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    এআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…