ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানার ফটকের সামনেই জমিজমা সংক্রান্ত এক শালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে জাতীয়তাবাদী যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতার মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলার জাটিগ্রাম এলাকার একটি জমি সংক্রান্ত বিরোধের মীমাংসা করতে বেলা ১১টার দিকে আলফাডাঙ্গা থানার গোলঘরে শালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উক্ত জমি বিরোধের দুই পক্ষের সমর্থক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শাহিন মোল্যা (গড়ানিয়া, বানা ইউনিয়ন) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম দাউদ (ধলাইরচর, আলফাডাঙ্গা সদর)।
বৈঠক চলাকালীন সময়ে দুই নেতার মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে তারা থানার বাইরে এসে ফের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে যুবদল নেতা শাহিন মোল্যা একটি ক্রাচ দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কামরুল ইসলাম দাউদকে আঘাত করেন। তখন কামরুল ও তার সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন শাহিনকে কিল-ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মারেন। শাহিন দৌড়ে থানার ভেতরে আশ্রয় নিলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পরে তাকে নিরাপদে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে কামরুল ইসলাম দাউদ বলেন,“শালিশে আমি আমার এলাকার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। শাহিন মোল্যা অন্য ইউনিয়নের লোক হয়েও সেখানে এসে আমাকে ‘দালাল’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি অহেতুক উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।”
অন্যদিকে বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে শাহিন মোল্যা দাবি করেন, “বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কিছু বহিরাগত লোক আমার ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। তারা প্রকৃতপক্ষে বিএনপির কেউ না। পুলিশ আমাকে উদ্ধার করায় আমি প্রাণে বেঁচে যাই।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শালিশে উপস্থিত থাকা আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সমীর বিশ্বাস বলেন, “থানার ভেতরে কোনো মারামারি হয়নি। শালিশ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে বাইরে কিছু উত্তেজনা দেখা দেয়। যারা মারামারিতে জড়িয়েছেন, তারা জমির প্রকৃত পক্ষের কেউ নন।”
আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজালাল আলম বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। কে বা কারা মারামারি করেছে, তাও জানা নেই।”
এনআই