বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনকে। আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় নিহত অটোরিকশাচালক মো. রনি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. নাজমুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গুলিবিদ্ধ হন অটোরিকশাচালক মো. রনি। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রনির মা মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এর আগে গত ৩ মার্চ ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। ওই দিন সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম অর্গানাইজডের উপপরিদর্শক জোনাল হোসেন মোহাম্মদপুর থানায় মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে একটি মামলা করেন। পরদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ঈদুল আজহায় আলোচিত ছিল সাদিক অ্যাগ্রোর ১৫ লাখ টাকা দামের একটি ছাগল। সেই ছাগলসূত্রে বেরিয়ে এসেছিল নানা কেলেঙ্কারির কথা। দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল সমালোচনা। ওই বছর কোরবানির ঈদে ইমরানের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় (প্রাথমিক দর) ‘উচ্চবংশীয়’ ছাগল কিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন তৎকালীন এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত। এ ঘটনায় মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের দুর্নীতির চিত্র সামনে চলে আসে। মতিউর রহমান বর্তমানে কারাগারে আছেন।
আরডি