মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অভিযান জোরদার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। সাম্প্রতিক ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রধান জাকারিয়া বিন শাব্বান এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, বৈধ প্রবাসীদের কাউকে যেন কাজ না দেওয়া হয় এবং তাদের কাউকে বাসা ভাড়া দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তা বা বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবস্থানকারী বিদেশিরা দেশটির শ্রমবাজার ও সামাজিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। এ কারণে রাজধানী কুয়ালালামপুরসহ সেলাঙ্গর, জোহর, পেনাং ও সাবাহ–সারাওয়াক অঞ্চলে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। হাইওয়ে চেকপোস্ট, আবাসিক এলাকা ও কারখানা অঞ্চলে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
নতুন নির্দেশনায় বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যে কেউ অবৈধ প্রবাসীকে আশ্রয় দেবে, বাসা ভাড়া দেবে বা কোনো প্রকার কাজের সুযোগ করে দেবে, তার বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে জরিমানা ও কারাদণ্ড। একই সঙ্গে অনেক নিয়োগকর্তাকে কালো তালিকাভুক্তও করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধ প্রবাসীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বৈধ কর্মীরা সংকটে পড়েছেন। দেশটির সরকার বলছে, বৈধ ভিসা নিয়ে যারা কাজ করছে, তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিদেশিদের আহ্বান জানানো হয়েছে, যারা এখনো বৈধকরণ প্রক্রিয়ায় আসেনি তারা যেন দ্রুত নিয়ম মেনে কাগজপত্র ঠিক করে নেয়।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় কয়েক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ অবৈধ অবস্থায় রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ফলে দেশটির কড়াকড়ি ও অভিযান বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষত যারা বৈধ কাগজপত্র সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছেন, তারা চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন।
ইমিগ্রেশন বিভাগ আবারও সবাইকে সতর্ক করে বলেছে, 'অবৈধকে সুযোগ দেবেন না, না হলে আপনার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
আরডি