পুলিশের চাঁদাবাজি, মামলা দিয়ে হয়রানিসহ নানা অনিয়মের প্রতিবাদ ও মহাসড়কে বাঁধাহীন চলাচলের দাবিতে নাওজের এলাকার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা। এ সময় সড়ক অবরোধের কারণে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়, ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা পর যান চলাচল শুরু হয়।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) পোনে বারোটা দিকে এ অবরোধের ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনরত সিএনজি চালকদের অভিযোগ, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালাতে গিয়ে নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন চালকরা। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অন্যায়ভাবে গাড়ি আটকে মামলা দায়ের করে। এছাড়া চাঁদাবাজি করেন পুলিশের কতিপয় সদস্য। এসব অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন চালকরা।
এদিকে, মহাসড়কে উভয় পাশে অবরোধ সৃষ্টি হওয়ায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও শ্রমিক নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। এক পর্যায়ে তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে সিএনজি চালকরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। এতে দেড় ঘণ্টা পর সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশ গাড়ি ধরলেই আড়াই হাজার টাকার মামলা ঠুকে দেয়। তবে এই টাকা পরিশোধে অক্ষম হয়ে অনেকেই পুলিশকে চাঁদা দিতে বাধ্য হন। এছাড়া গাজীপুরের রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ি গাজীপুরে চলতে গেলেও নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয় বলে জানান চালকরা।
বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহীন খান বলেন, আগামীকাল তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতা ও প্রশাসন বৈঠক করবেন। তাদের দাবি মানার আশ্বাস পেয়ে শ্রমিকরা অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, যান চলাচল স্বাভাবিক।
এসআর