সফল কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ২০২১ সালে ১২ বিঘা জমি লিজ নেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার খয়রাবাদ এলাকার তরুণ রবিউল ইসলাম রবি। সেখানে তিনি গড়ে তোলেন মিশ্র ফলের বাগান। তিন বছরের পরিশ্রমের পর ২০২৪ সালে সেই বাগান থেকে ফলন আসা শুরু হয়।
প্রথম বছরেই ব্যয় বাদ দিয়ে তিনি ১০ লাখ টাকা আয় করেন। চলতি বছরও এরই মধ্যে সমপরিমাণ আয় করেছেন। মৌসুম শেষে আরও তিন থেকে চার লাখ টাকার আম বিক্রির আশা করছেন।
রবিউল ইসলাম রবি জানান, শুরুতে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও ধৈর্য ও পরিশ্রমের ফল তিনি পাচ্ছেন। তার বাগান প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্যোক্তাদের আকর্ষণ করছে। তারা কল্যাণভোগ আমের চারা ও সাইন (ডগা) কিনে নিচ্ছেন। শুধু সাইন (ডগা) বিক্রি করেই তিনি প্রতি মাসে লাখ টাকার বেশি আয় করছেন।
রানীহাটি এলাকার কৃষি উদ্যোক্তা শুভ বলেন, ‘সপ্তাহখানেক আগে রবি ভাইয়ের বাগান থেকে চার হাজার কল্যাণভোগ আমের সাইন (ডগা) কিনে এনেছি। আমার মতো অনেক চাষিই তার কাছ থেকে চারা ও সাইন (ডগা) নিয়ে আম চাষ করছেন। কল্যাণভোগ আম খুবই সুস্বাদু ও লাভজনক।’
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাকলাইন হোসেন বলেন, ‘মিশ্র ফলের বাগান করে অনেক কৃষক উদ্যোক্তা লাভবান হচ্ছেন। রবিউল ইসলাম রবির বাগানে কল্যাণভোগ, কাটিমণ ও গৌড়মতি জাতের আমের পাশাপাশি সবুজ মাল্টার চাষও হচ্ছে। বিশেষ করে কল্যাণভোগ আমের চারা ও সাইন (ডগা) বিক্রি করে তিনি দ্রুত ভালো আয় করছেন। কৃষি বিভাগ তার পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন, রবির মতো সফল উদ্যোক্তারা কৃষি খাতে নতুন দিগন্ত তৈরি করছেন এবং অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করছেন বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে।
এফএস