ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মামলার প্রতিবাদে ওসির অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন প্রস্তুতিকালে সকালে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির চার নেতার মধ্যে তিনজন জামিন পেলেন একইদিন সন্ধ্যায়।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরিদপুর ৯নং আমলী আদালতের ভারপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের খাস কামরায় এ জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানি শেষে গ্রেপ্তার হওয়া চার জনের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোশবুর রহমান খোকন (৫০), পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আরব আলী (৩৫) ও আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলামের (৪০) জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। তবে উপজেলা যুবদলের কর্মী রমজান মোল্যার (৩৩) জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত।
এর আগে শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলা সদর বাজারের কলেজ রোডে অবস্থিত চুয়াল্লিশের মোড় নামক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেন পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আসামি পক্ষের আইনজীবী সরোয়ার হোসেন বলেন, 'আমরা জামিন চাইলে রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করে। তবে আমরা যুক্তি দেখিয়ে বলি, এ মামলায় যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার মধ্যে রমজান মোল্যা ছাড়া অন্য কোন আসামির মারধর সংক্রান্ত ভূমিকার কথা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়নি। তাছাড়া মামলায় এক নম্বর আসামি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোশবুর রহমান খোকনকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। হুকুমের আসামি জামিন পেতে পারেন।'
আসামি পক্ষের আইনজীবী সরোয়ার হোসেন আরও বলেন, 'পরে শুনানি শেষে আদালত রমজান মোল্যা ছাড়া বাকি তিন আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন। আদালতের আদেশে রমজানকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।'
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার রূপপাত ইউনিয়নের কুমড়াইল গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ছাত্রদল নেতা বনি আমিন। এ মামলায় বাদী বনি আমিনসহ আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য এ কে এম উজ্বল হোসেনকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ আনা হয়। মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ছয় নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার প্রতিবাদে শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলা সদর বাজারের কলেজ রোডে অবস্থিত চুয়াল্লিশের মোড় নামক এলাকায় উপজেলা বিএনপির একাংশ ওসির অপসারণ দাবি করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই স্থান থেকে এজাহারভুক্ত তিনজন ও অজ্ঞাত আসামি হিসেবে একজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেফতারকৃত চারজনকে ওইদিন বেলা ১২টার দিকে আদালতে প্রেরণ করেন।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল আলম জানান, 'গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের তিনজনকে আদালত জামিন দিয়েছেন কিনা তা আমার জানা নেই। যদি আদালত জামিন দিয়ে থাকেন, এটি ‘আদালতের কাজ আদালত করেছেন’, এখানে আমার কিছু বলার নেই।'
এসকে/আরআই