রাজবাড়ীর কালুখালীতে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বিতরণকৃত ডিডব্লিউবি কার্ডধারীর কাছ থেকে চাউল হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পুরাতন কালুখালী গ্রামের মো. আলমের স্ত্রী মোছাঃ ফাতেমা বেগমের ডিডব্লিউবি’র নতুন কার্ড ইস্যু হয়। তার প্রাপ্ত চাউল হতে এক বস্তা চাউল বাড়ী থেকে জোরপূর্বক নিয়ে গেছেন কালিকাপুর ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য শিরিন নাহার (চামেলী)।
সোমবার (৬ অক্টোবর) ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জুলাই ও আগস্ট মাসের দুই বস্তা চাউল পাই। চাউল বাড়ীতে নিয়ে আসার পর থেকেই শিরিন নাহার এক বস্তা চাউল দাবী করে আসছিল। আমি দিতে চাইনি বলে আমার উপরে চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। গত বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শিরিন নাহার আমার বাড়ীতে এসে জোরপূর্বক এক বস্তা চাউল নিয়ে গেছেন।
একই গ্রামের প্লাবন খানের স্ত্রী রোজিনা বেগম বলেন, আমি গরিব মানুষ। ইতিপূর্বে অনেক মানুষের বিভিন্ন কার্ড হয়েছে। আমাদের কখনো হয়নি। এ বছরে আমার নামে ডিডব্লিউবি’র কার্ড হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাউল নিয়ে আসার সময় এক বস্তা চাউল ও আমার কার্ড শিরিন নাহার মেম্বার রেখে দিয়েছেন।
পুরাতন কালুখালী গ্রামের মো. ইউনুস শেখ বলেন, কিছুদিন আগে আমার নামে কৃষি অধিদপ্তর থেকে গম বীজ ও সার বরাদ্দ আসে। চামেলী মেম্বার আমাকে সাথে নিয়ে গিয়ে গম বীজ ও সার নিয়ে এসে তিনি রেখে দিয়ে আমাকে খালি হাতে ফেরত পাঠান।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শিরিন নাহার (চামেলী) এর সাথে কথা হলে তিনি চাউল নিয়ে আসার কথা শিকার করেছেন, তবে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।
কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. আতাহার আলী বলেন, ইউপি সদস্য চামেলী খাতুন চাউল আনার কথা শিকার করেছেন। পরে আমি তাকে আমার পকেট থেকে টাকা দিয়ে বলেছি চাউল কিনে ঐ মহিলার বাড়িতে দিয়ে আসতে।
কালিখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া আফরোজ বলেন, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সত্যি হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পিএম