মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানরত হাজারো বিদেশি শ্রমিক বর্তমানে ইমিগ্রেশন দপ্তরের সামনে দীর্ঘ লাইনে দেখা দিচ্ছেন, দেশে ফিরতে তারা ‘মাইগ্র্যান্ট রিপ্যাট্রিয়েশন প্রোগ্রাম ২.০’–এর সুযোগ নিতে চান। চলতি বছর ১৯ মে থেকে এই প্রোগামটি কার্যকর করেছিল দেশটির সরকার। প্রচলিত মেয়াদ শেষে ৩০ এপ্রিল ২০২৬ পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে কুয়ালালামপুরের পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন অফিসের সামনে দেখা যায় শত শত প্রবাসীর ভিড়। সকালের আলো থেকে রাত পর্যন্ত অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন প্রস্থান-পাস (এক্সিট পাস) উত্তোলনের আশায়। একই দৃশ্য নজরে আসে সেলাঙ্গর, পেনাং, জহর ও সাবাহ অঞ্চলে।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চলতি বছরের মধ্যে হাজার হাজার বিদেশি নাগরিক ইতিমধ্যেই দেশে প্রত্যাবর্তনের আবেদন করেছেন। এছাড়া, প্রোগ্রাম মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে যাতে অবৈধ প্রবাসীদের ফিরতি সুযোগ আরও দীর্ঘ রাখা যায়।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক কর্তা জানান, ‘অনেকেই দীর্ঘ দিন অবৈধভাবে ছিলেন। এবার আইনি পথে ফিরতে পারছেন। তবে ভিড় ও কাগজপত্র যাচাই প্রক্রিয়া ধীরগতি হচ্ছে।’
অভিযোগ আছে, ইমিগ্রেশন অফিসগুলিতে অতিরিক্ত ভিড়, লাইনে দীর্ঘ সময় দাঁড়ানো এবং ট্রাভেল ডকুমেন্ট সংগ্রহে বিলম্বের কারণে প্রবাসীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রোগ্রামটি অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ও শ্রমবাজারকে স্বচ্ছ রাখতে নেওয়া হয়েছে। যারা স্বেচ্ছায় ফিরে যাবেন, ভবিষ্যতে বৈধভাবে কাজের সুযোগ পাবেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রোগ্রাম মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দুই দেশের শ্রম ও অভিবাসন স্বার্থে ভালো, তবে এটি মানবিক ও ঝামেলাবিহীনভাবে পরিচালনার জন্য কঠোর তদারকি প্রয়োজন।
আরডি