কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকা সংলগ্ন হ্নীলা রঙ্গীখালীতে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে বেশ কয়েক দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে দুই পক্ষের দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও গুলির শব্দে উক্ত এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত ১১ টার দিকে লাগাতার ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা যাবত টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের অন্তর্গত রঙ্গীখালী উলুচামারিতে উক্ত ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে আরো জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা পাহাড়ি এলাকা সংলগ্ন রঙ্গীখালী, উলুচামারিতে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য অস্ত্রধারী দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বন্দ্ব লেগে আসছিল।
এই দুই গ্রুপের সন্ত্রাসীরা উক্ত এলাকায় মাদক, মানব পাচার, অপহরণ ও নানান প্রকার অপরাধ সংঘটিত করে অবৈধ পন্থায় টাকা ইনকাম করার জন্য ঐ এলাকার স্থানীয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও রোহিঙ্গা ডাকাত দলের সদস্যরা মিলে গ্রুপ তৈরি করে।
পাশাপাশি এই সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা প্রায় সময় অত্র এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও অসহায় রোহিঙ্গাদের গহীন পাহাড়ে ধরে নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল। একপর্যায়ে এই দুটি গ্রুপ নিজেদের আধিপত্য জানান দেওয়ার জন্য গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়েছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এবিষয়ে ঐ এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, উলুচামারি এলাকার বাসিন্দা শীর্ষ সন্ত্রাসী জালাল প্রকাশ 'লাশ জালাল' গ্রুপ ও ঐ এলাকার আরেক সন্ত্রাসী আনোয়ার, মিজান গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে উক্ত ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দুই পক্ষের দফায় দফায় গোলাগুলির বিকট শব্দে রাতভর কেউ ঘুমাতে পারেনি। তাদের অবুঝ শিশু সন্তানরা ভয়ে কেঁদে উঠেছিল।
এবিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, গোলাগুলির ঘটনাটি শুনে পুলিশের একটি দল গভীর রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিদর্শন করেছেন।
পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক, তবে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এসআর