চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভার রওশন সিকদার বাড়ি সংলগ্ন সড়ক নির্মাণকাজে নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের ইট, খোয়া ও ধুলোবালি ব্যবহার করে সড়ক সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
পৌরসভা সুত্রে জানা যায়, ফটিকছড়ি পৌরসভার ‘আন্ডা মার্কেট টু ভেল্লার দোকান সংযোগ সড়ক থেকে ধুরুং খালের পাড় পর্যন্ত’ প্রায় ৭ শ’ মিটার দৈর্ঘ্যের সড়ক নির্মাণকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৭৮ লাখ টাকা। কাজটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আলিফ ট্রেডিং ।
আক্ষেপ প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দা ও টেলিকম ব্যবসায়ী ইবলুসহ কয়েকজন জানান, ‘সড়কে বালির পরিবর্তে মাটি, পুরোনো ও ভাঙা ইটের খোয়া এবং পোড়ামাটির ধুলোবালি দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আমরা বাধা দিয়েছিলাম, কোন কাজ হয়নি। তারা কিছু সামগ্রী সরালেও পরে আবার আগের মতোই কাজ চালিয়ে গেছে। কে শুনে কার কথা!’
অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আলিফ ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কিছু ইটের খোয়া মানসম্মত ছিল না, আমরা সেগুলো সরিয়ে নিয়েছি। তবে বালির পরিবর্তে মাটি ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করেন। ’
ফটিকছড়ি পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বিকাশ চন্দ্র দাস জানান, ‘ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কিছু নিম্নমানের খোয়া সড়কে ব্যবহার করেছে। বিষয়টি নজরে আসার পর ঠিকাদারকে নিম্নমানের খোয়া সরিয়ে নিতে বলেছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি টাকায় উন্নয়নকাজের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসএম