এইমাত্র
  • আবারও বিশ্বজয় করেছেন হাফেজ আনাস
  • আসিফ মাহমুদ গণঅধিকারে যোগ দিতে পারেন
  • চিকিৎসা নিতে পারছেন খালেদা জিয়া, গুজব ছড়াবেন না: ডা. জাহিদ হোসেন
  • পরিচয়পত্র যাচাই করে কাজের লোক ঠিক করুন: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী
  • নোবেল শান্তি পুরস্কারের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মাচাদো
  • পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলিতে ইমরান খান-পিটিআইকে নিষিদ্ধের দাবিতে প্রস্তাব পাস
  • ক্যানসার সৃষ্টিকারী জিনবাহী দাতার শুক্রাণুতে ২০০ শিশুর জন্ম
  • অল্প সময়ে তোমরা জাতিকে যা দিয়েছ, তা জাতি কখনো ভুলবে না
  • ইরান সফরের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করলেন লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • পুলিশি নিরাপত্তায় সচিবালয় ছাড়লেন অর্থ উপদেষ্টা
  • আজ বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫
    শিক্ষাঙ্গন

    শিক্ষকের ভুলের মাশুল গুনতে হচ্ছে ইবি শিক্ষার্থীদের

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম

    শিক্ষকের ভুলের মাশুল গুনতে হচ্ছে ইবি শিক্ষার্থীদের

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম

    ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগের খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত, ভুল ক্রেডিট বণ্টন এবং অর্ডিন্যান্স লঙ্ঘনের কারণে একাডেমিক ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে অভিযোগ করেছে ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।

    বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্ণারে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ সংক্রান্ত বিস্তারিত অভিযোগ তুলে ধরে দ্রুত সমাধানের দাবি জানান।

    শিক্ষার্থীরা জানান, করোভাইরাস পরিস্থিতি এবং ‘জুলাই বিপ্লব’–পরবর্তী দীর্ঘ সেশনজটের সময়ে বারবার জট নিরসনের দাবি জানালে তৎকালীন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মিয়া মো. রাশিদুজ্জামান সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে প্রতিটি সেমিস্টারের মান উন্নয়ন পরীক্ষা না নিয়ে ৩য় বর্ষ ১ম সেমিস্টার থেকে সব মান উন্নয়ন পরীক্ষা স্থগিত করে ঘোষণা দেন যে ৪র্থ বর্ষ শেষে একসঙ্গে সব সেমিস্টারের মান উন্নয়ন নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করা হয়—যে সব কোর্সে ৩.০০–এর নিচে নম্বর পাবে, সেসব কোর্সে পরবর্তীতে মান উন্নয়ন পরীক্ষার সুযোগ থাকবে; সেমিস্টারের গড় সিজিপিএ বিবেচ্য হবে না।

    শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী— ধারা ১০.৬: প্রতি একাডেমিক ইয়ারে যেকোনো কোর্সে ৩.০০–এর নিচে গ্রেড পেলে সেমিস্টার শেষে ১৫ দিনের মধ্যে রিটেক দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ধারা ১৩.২: ৪র্থ বর্ষের চূড়ান্ত ফলাফলের পর যাদের যেকোনো কোর্সে গ্রেড ‘বি’–এর নিচে থাকবে, তারা অনিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে রিটেক দিতে পারবে।

    অর্ডিন্যান্সে গড় সিজিপিএ ৩.০০-এর বেশি হলে মান উন্নয়ন দেওয়া যাবে না—এমন কোনো বিধান নেই। এসব নিয়ম অমান্য করে চেয়ারম্যান একক সিদ্ধান্তে শুধুমাত্র ‘ফেইল করা’ শিক্ষার্থীদের জন্য মান উন্নয়ন পরীক্ষা সীমিত করেন, যা বিভাগীয় প্রতিশ্রুতিভঙ্গ।

    শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষে বিভাগীয় অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী মোট ক্রেডিট হওয়ার কথা ছিল ১৩৬। কিন্তু তৎকালীন সভাপতি অধ্যাপক ড. মোছা. সালমা সুলতানার ভুল ক্রেডিট বিতরণের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ১২৮ ক্রেডিট অনুযায়ী একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ৪র্থ বর্ষের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের সময় ভুল ধরা পড়ে। তখন বিভাগ হঠাৎ করে ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষের পুরনো অর্ডিন্যান্স চাপিয়ে ফল প্রকাশ করে। অথচ শিক্ষার্থীরা সেই অর্ডিন্যান্সের অন্তর্ভুক্ত নন। এতে স্পষ্টতই অর্ডিন্যান্স লঙ্ঘন হয়েছে। ২০১৮–১৯ অর্ডিন্যান্স চাপিয়ে দিয়ে শুধু ‘ফেইল করা’ শিক্ষার্থীদের রিটেক ও মান উন্নয়ন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, আর বাকি শিক্ষার্থীদের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

    শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আমরা কোনো বেআইনি সুবিধা চাইনি। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার—মান উন্নয়ন পরীক্ষার সুযোগ—চেয়েছি। কিন্তু বিভাগের ধারাবাহিক ভুলের কারণে আমরা ভুক্তভোগী হয়েছি। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে দৌড়ঝাঁপ করেও সমাধান পাইনি। অর্ডিন্যান্স লঙ্ঘন করে ফল প্রকাশ করে এবং প্রতিশ্রুতি ভেঙে আমাদের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের ভুলের দায় শিক্ষার্থীদের ওপর চাপানো অন্যায়। এই সপ্তাহের মধ্যেই মান উন্নয়ন পরীক্ষার অনুমতি দিতে হবে। অন্যথায় প্রমাণ হবে—ইংরেজি বিভাগ শিক্ষার্থী-বান্ধব নয়। যে বিভাগ শিক্ষার্থী-বান্ধব নয়, সে বিভাগ তার কার্যক্রম চালানোর নৈতিক যোগ্যতা রাখে না। দাবি না মানলে তারা পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান।

    এবিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের তৎকালীন সভাপতি অধ্যাপক ড. মিয়া মো. রাসিদুজ্জামান বলেন, ‘এবিষয়ে আমি উপাচার্যের সাথে কথা বলেছি। আমি বিভাগের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত আছি। আপাতত আমার কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’

    বিভাগের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘২০ জন শিক্ষার্থী মান উন্নয়ন পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিল, আমরা একাডেমিক কমিটি থেকে তাদের নাম পাঠিয়েছিলাম। যাদের মধ্যে ৮ জন শিক্ষার্থী যাদের রিটেক ছিল তাদেরকে অনুমোদন দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। বাকি ১২ জন পরবর্তীতে আবারো আবেদন করে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আবারো একাডেমিক কাউন্সিলের একটা মিটিং হয় এবং আমরা সেই ১২ জনের নাম কন্ট্রোলার অফিস পাঠাই। পরবর্তীতে উপাচার্য স্যার এটাকে আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের আশ্বাস দেন। এখন বিষয়টি কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।’

    এসএম

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…