তুরস্কের পেশাদার ফুটবল লিগে অবৈধভাবে ম্যাচে বাজি ধরার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ফুটবলারদের মধ্যে ২০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে দেশটির আদালত। এদের মধ্যে রয়েছেন সুপার লিগে খেলা কয়েকজন ফুটবলারও।
গত সপ্তাহে দেশটির প্রসিকিউটররা সুপার লিগের খেলোয়াড়, ক্লাব সভাপতি, রেফারি ও ক্রীড়া বিশ্লেষকসহ মোট ৪৬ জনকে তদন্তের আওতায় আনেন। একই সঙ্গে বাজি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শীর্ষ দুই লিগের ১০২ জন ফুটবলারকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করা হয়।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর খবরে জানা যায়, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় নিয়মিত খেলা গালাতাসারায়ের ডিফেন্ডার মেতেহান বালতাচি এবং ফেনারবাচের মিডফিল্ডার মের্ত হাকান ইয়ানদাসকে আনুষ্ঠানিকভাবে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আদানা দেমিরস্পোরের সাবেক সভাপতি মুরাত সানচাককেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তুরস্ক ফুটবলে ম্যাচ–বাজি বিতর্ক নতুন নয়। ফুটবল ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ইবরাহিম হাচিওসমানোগলু বলেন, ‘অনেক বছর ধরে তুর্কি ফুটবলের নানা সমস্যা আড়াল করা হয়েছে। লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বহু অপরাধ চাপা পড়ে গেছে। আজকের পরিস্থিতির পেছনে দায়হীনতাই বড় কারণ।’
তিনি আরও জানান, রাষ্ট্রীয় বেটিং প্রতিষ্ঠান ‘স্পর টোটো’র কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়া গেলে তদন্তের পরিধি বাড়তে পারে। এতে ম্যাচ পর্যবেক্ষক, কোচ, ক্লাব কর্মকর্তাসহ আরও বহু ব্যক্তি তদন্তের আওতায় আসতে পারেন।
আরডি