শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রীদের জন্য চলমান দুর্ভোগের কোনো শেষ নেই। বিমানবন্দরের প্রবেশদ্বারে দীর্ঘ যানজট এবং স্পষ্ট দিকনির্দেশনা না থাকার কারণে যাত্রীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। অনেক যাত্রী সঠিক পথে ডিপার্চার টার্মিনালে প্রবেশ করতে পারছেন না, ফলে কেউ ভুলক্রমে অ্যারাইভাল টার্মিনালে চলে যাচ্ছেন, আবার কেউ ডোমেস্টিক টার্মিনালের দিকে চলে যান।
এখনকার সমস্যাগুলো একাধিক কারণে উদ্ভূত হয়েছে। নির্মাণকাজ, অতি কড়া নিরাপত্তা তল্লাশি, এবং সাইনেজের অভাব—এসবের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ভ্রমণকারীরা লাগেজ ডেলিভারি ও রূঢ় আচরণের অভিযোগ করতেন; তবে বর্তমানের আগে লাগেজ ডেলিভারির সময়ের উন্নতি হলেও কিছু যাত্রী এখনও অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, বছরে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেন এবং প্রতিদিন ১৪০ থেকে ১৫০টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়। সম্প্রতি দেখা গেছে, এয়ারপোর্ট রোড থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনাল সংযোগ সড়কের প্রবেশপথে দীর্ঘ যানজট দেখা যায়, যদিও সেদিন রাজধানীতে রাজনৈতিক অবরোধের জন্য যানবাহনের সংখ্যা কম ছিল।
সরাসরি প্রবেশপথে নিরাপত্তাকর্মীরা প্রতিটি গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করছেন, যা প্রয়োজনীয়, কিন্তু চলমান নির্মাণের কারণে সড়কটি সরু হয়ে যাওয়ার ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। যাত্রীদের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে হতাশা।
বর্তমানে, বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবাসীদের সঙ্গে আচরণের কিছুটা উন্নতি হলেও, লাগেজ নিয়ে অসন্তোষ এখনও বিদ্যমান। অনেক যাত্রীর কোথায় দাঁড়িয়ে থাকার কথা, তা তাদের জানানো হচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ, মাজু মিয়া নামের এক যাত্রী ওয়েটিং লাউঞ্জের কথা জানেন না।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ডিপার্চার ড্রাইভওয়ে বা অ্যারাইভাল ক্যানোপি এলাকায় প্রত্যেক যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুইজন স্বজন থাকতে পারবেন। যদিও এতে ভেতরের ভিড় কিছুটা কমেছে, তবে বাইরে - বিশেষত প্রবেশদ্বারে - যাত্রী ও স্বজনদের ভোগান্তি বেড়েছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাগিব সামাদ জানিয়েছেন, নিরাপত্তাজনিত তল্লাশির কারণে জট তৈরি হচ্ছে। তিনি দাবি করেছেন, সড়ক সংস্কার চলমান থাকায় পরিস্থিতির উন্নতির চেষ্টা চলছে এবং যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত সাইনেজও স্থাপন করা হবে।
সেইসাথে, আন্ডারপাস নির্মাণের কারণে পরিবহণের অসুবিধা বেড়েছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ আশা করা হচ্ছে।
এসএম